অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শুভ সূচনা হয়েছিল বাংলাদেশের। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১০ রানে হারিয়ে নিজেদের জয়যাত্রা অব্যাহত রেখেছে বাঘিনীরা। টানা দ্বিতীয় জয়ের ফলে টুর্নামেন্টের সুপার সিক্সের পথ অনেকটাই সহজ হয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বেনোনির উইলোমুর পার্ক স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে শ্রীলঙ্কা তুলতে পারে ১৫৫ রান।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। প্রথম উইকেটে দুই ওপেনার আফিয়া প্রত্যাশা ও মিষ্টি শাহা মিলে ৭৫ রান তুলে ফেলেন। ৪৩ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৩ রান করে লঙ্কান পেসার নেত্রাঞ্জলির বলে প্রত্যাশা বোল্ড হলে এই জুটি ভাঙে। দুই বল পরেই ২৪ বলে ১৪ রান করে রানআউট হয়ে প্রত্যাশাকে অনুসরণ করেন আরেক ওপেনার মিষ্টি শাহা।
তৃতীয় উইকেটে দিলারা আক্তার ও স্বর্ণা আক্তারের অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রানের জুটিতে ২০ ওভার শেষে ১৬৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। স্বর্ণা ২৮ বলে তিন চার ও দুই ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন। অন্যদিকে, ২৭ বলে তিন চার ও এক ছক্কায় খেলেন ৩৬ রানে অপরাজিত থাকেন দিলারা।
জয়ের জন্য ১৬৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শ্রীলঙ্কার শুরুটা ভালো হয়নি। ইনিংসের চতুর্থ বলেই দলীয় চার রানে লঙ্কান ওপেনার নেত্মি সেনারত্নকে সাজঘরের পথ দেখান মারুফা আক্তার। চতুর্থ ওভারে দলীয় ২৪ রানে দিশা বিশ্বাসের বলে বোল্ড হন শ্রীলঙ্কার আরেক ওপেনার সুমুদু নিসানসালা।
দুই ওপেনারকে হারালেও অধিনায়ক ভিস্মি গুনারত্নে ও দেউমি ভিজেরত্নের ব্যাটে শ্রীলঙ্কার জয়ের স্বপ্ন বেঁচেছিল। তৃতীয় উইকেটে ৯৮ রানের জুটি গড়েন তারা। ১৭তম ওভারে দ্বিতীয় বলে দেউমি বিহঙ্গকে তুলে নিয়ে মারুফা নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নিলে আবারও ম্যাচে ফিরে আসে বাংলাদেশ।
এক প্রান্তে থেকে লঙ্কান অধিনায়ক গুনারত্নে শেষ চেষ্টা চালিয়ে যান। তবে শেষ ওভারে রান আউট হলে তার সেই চেষ্টা বিফলে যায়। সাজঘরে ফেরার আগে ৫২ বলে আট চার ও এক ছক্কায় ৫৮ রান করেন গুনারত্নে। তার আউটের পর শ্রীলঙ্কার ইনিংস ১৫৫ রানে থেমে গেলে টানা দ্বিতীয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাঘিনীরা।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মারুফা আক্তার ১৯ রানে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া, দিশা বিশ্বাস নেন একটি উইকেট। টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে আগামী ১৮ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।