নেপালের পোখারায় বিধ্বস্ত ইয়েতি এয়ারলাইন্সের বিমানটি অবতরণের আগ মুহূর্তে ল্যান্ডিং প্যাড পরিবর্তনের অনুমতি চেয়েছিল। অনুমতি দেয়া হলেও শেষমেশ আর অবতরণ করতে পারেনি বিমানটি। তবে শেষ মুহূর্তে ল্যান্ডিং প্যাড বদলের দরকার কেন হয়েছিল তা নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। খবর- বিবিসির।
নেপালের স্থানীয় পত্রিকা ইকান্তিপুর এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটির রানওয়ে-৩০এ অবতরণের কথা ছিল। একই পাইলট ও ক্রুসহ বিমানটি একই রানওয়েতে ওই দিন সকালবেলায়ও একবার অবতরণ করেছিল। তবে শেষ মুহূর্তে বিমানটি রানওয়ে-১২তে অবতরণের অনুমতি চায়।
বিবিসি নেপালি এক প্রতিবেদনে বলেছে, বিমানটির পাইলট ছিলেন ক্যাপ্টন কামাল কে সি। যিনি রোববারই আরেকটি ফ্লাইট নিয়ে কাঠমান্ডু থেকে পোখারায় গেছেন।
ইয়েতি এয়ারলাইন্স বলছে, সম্প্রতি চালু হওয়া পোখারা ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে এর আগে পরীক্ষামূলক উড্ডয়নও করেছেন তিনি।
কর্মকর্তারা বলছেন, অবতরণের বিষয়ে বিমানবন্দর থেকে অনুমতিও পেয়েছিলেন পাইলট। তখনও পর্যন্ত কোনো সমস্যা ছিল না।
গতকাল রোববার ৭২ জন আরোহী নিয়ে ইয়েতি এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজ পোখারায় বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গতকাল রাতে অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়েছিল। তবে আজ সকালে তা আবার শুরু হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশের কয়েকশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।
উড়োজাহাজটি বিধ্বস্তের কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত প্যানেল গঠন করেছে নেপাল সরকার। এই প্যানেল ৪৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে পারবে বলে আশা করা হচ্ছে।
নেপালের সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, গতকাল সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে কাঠমান্ডু থেকে পোখারার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি। বেলা ১১টার কিছু আগে পোখারার স্থানীয় ও নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মাঝামাঝি উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। উড়োজাহাজের আরোহীদের মধ্যে ৬৮ যাত্রী এবং ৪ জন ক্রু ছিলেন।
উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় নেপালে আজ জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল।