ভাড়াটে যোদ্ধাগোষ্ঠী ওয়াগনারের পর এবার রাশিয়া দাবি করেছে, ইউক্রেনের লবন খনির শহর সলেদার দখল করেছে রুশ বাহিনী। তাদের দাবি, একমাস দীর্ঘ যুদ্ধের পর তারা শহরটি দখল করেছে। তারা এই শহর দখলকে তাদের আক্রমণের গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছে। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই শহর দখলের ফলে রুশ সেনারা কাছের বড় শহর বাখমুতে ইউক্রেনীয়দের রসদ সরবরাহ রুট বিচ্ছিন্ন করতে পারবে।
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, সলেদারে লড়াই এখনও চলছে। শহর দখলের দাবিকে রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা হিসেবে অভিযোগ করছেন তারা।
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে সলেদার শহর ঘিরে লড়াইটি রক্তাক্ত সংঘাতের একটি। আঞ্চলিক গভর্নর পাবলো কিরিলেঙ্কো বৃহস্পতিবার বলেছিলেন, ১৫ শিশুসহ ৫৫৯ বেসামরিক শহরে রয়ে গেছেন। তাদের সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়নি।
রুশ সেনাবাহিনীর জন্য সলেদার শহরের গুরুত্ব নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। কারণ আকারে শহরটি ছোট। তবে দশ মাসের যুদ্ধে কয়েক মাস ধরে ব্যর্থতার পর শহরটি দখলকে মস্কো নিজেদের একটি জয় হিসেবে তুলে ধরতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক থিংক ট্যাংক ইন্সটিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব ওয়ার রাশিয়ার দাবির কয়েক ঘণ্টা আগে বলেছিল, রুশ সেনারা হয়ত সলেদার দখল করে থাকতে পারে। তবে এরপর তারা বাখমুত ঘিরে ফেলতে সক্ষম হবে, এমনটা তারা মনে করেন না।
ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি বলেছেন, সলেদারে ইউক্রেনীয় সেনা ইউনিটের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়া নিজেদের সেরা ভাড়াটে যোদ্ধাদের পাঠিয়েছে।