বিশ্বের ছয় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সাত প্রতিষ্ঠান থেকে ২১ লাখ টন ডিজেল এবং পরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করবে বাংলাদেশ। এতে খরচ পড়বে প্রায় ১৯ হাজার কোটি টাকা।
বুধবার (১১ জানুয়ারি) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ভারতের নুমালীগড় রিফাইনারি থেকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে ৬০ হাজার টন ডিজেল আমদানি করবে। এতে খরচ হবে ৫৪৫ কোটি ৪ লাখ টাকা।”
বৈঠকে পাস হওয়া তথ্য অনুযায়ী, আমদানি করতে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯০ টাকা ৮৪ পয়সার মধ্যে থাকবে।
তবে দাম কীভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেননি সাঈদ মাহবুব।
তিনি জানান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের আরেক প্রস্তাবে বিশ্বের ছয় দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত সাত প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২৩ সালের জানুয়ারি-জুন সময়ের জন্য ২০ লাখ ৪০ হাজার টন পরিশোধিত জ্বালানি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট খরচ হবে ১৮ হাজার ২১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা।
ভারতের আইওসিএল, চীনের পেট্রো চায়না এবং ইউনিপ্যাক, থাইল্যান্ডের পিটিটিটি, মালয়েশিয়ার পিটিএলসিএল, ইন্দোনেশিয়ার বিএসপি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইএনওসি থেকে এই তেল কেনা হবে। এতে প্রতি লিটার পরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম পড়বে ৮৯ টাকা ২৯ পয়সা।
সাধারণত দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর ৬.৬৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি আমদানি করা হয়। এর মধ্যে ৫.২৩৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন পরিশোধিত ও বাকি ১.৪ মিলিয়ন মেট্রিক টন অপরিশোধিত জ্বালানি।