ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল ডনবাসের গুরুত্বপূর্ণ সোলদার শহর পূর্ণদখলের দাবি করেছে রাশিয়া। রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ইয়েভগিনি প্রিগোজিন মঙ্গলবার এ দাবি করেছেন। যদি এটি সত্যি হয় তাহলে গত গ্রীষ্মের পর যুদ্ধের ময়দানে প্রথমবারের মতো কোনো সাফল্য পেলো রুশ বাহিনী।
সোলদার দখলের ব্যাপারে এক অডিও বার্তায় ইয়েভগিনি প্রিগোজিন বলেছেন, ‘সোলদার শহর পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ওয়াগনার ইউনিট।’
তিনি মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ওই অডিও বার্তায় আরও বলেছেন, ‘শহরের কেন্দ্রে অবস্থানরত ইউক্রেনীয় সেনাদের ঘিরে ফেলা হয়েছে। কতজন সেনাকে যুদ্ধবন্ধি হিসেবে আটক করা হয়েছে সেটি আগামীকাল জানানো হবে।’ তিনি জানিয়েছেন, সোলদারের অলিগলিতে যুদ্ধ চলছে।
ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নিয়োগকৃত কর্মকর্তা ডেনিস পুসিলিন রাশিয়ান সংবাদমাধ্যম চ্যানেল ওয়ানকে বলেছেন, ‘সোলদার দখল করা হয়েছে। আমাদের কাছে থাকা বর্তমান তথ্য অনুযায়ী ওয়াগনার ইউনিট শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।’
ওয়াগনার সেনাদের সঙ্গে একটি ছবিও প্রকাশ করেছেন ইয়েভগিনি প্রিগোজিন। ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এটি লবণ খনির কোনো একটি সুড়ঙ্গ।
সোলদার শহরটি অর্থনৈতিক ও সামরিকভাবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই শহরটির তলায় রয়েছে ২০০ কিলোমিটার বিস্তৃত সুড়ঙ্গ। যেগুলো পুরোনো লবণ খনির অংশ। রাশিয়ার ধারণা, এসব সুড়ঙ্গ ব্যবহার করে নিজেদের রক্ষা করে আসছিল ইউক্রেনের সেনারা। এছাড়া এগুলোর ভেতর অনেক অস্ত্রও মজুদ করেছে তারা।
ইয়েভগিনি প্রিগোজিনের প্রকাশিত ছবি ও দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো। তবে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলোর কর্মকর্তারা কয়েকদিন ধরে জানাচ্ছিলেন, সোলদারের পতন আসন্ন।
সোলদার থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বাখমুত শহর দখলেও সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে রুশ সেনারা। ইউক্রেনের অন্যান্য স্থানে যুদ্ধ প্রায় থেমে থাকলেও বাখমুত ছিল উত্তপ্ত।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়ার কথিত অভিযানে এখন সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ। তাদের ধারণা, বর্তমানে ইউক্রেনে যুদ্ধরত রুশ বাহিনীর মধ্যে চার ভাগের তিন ভাগই ওয়াগনার গ্রুপের সেনা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান