নাজমুস সামস এর কবিতা

নাজমুস সামস
নাজমুস সামস
2 মিনিটে পড়ুন

কথা

হগল মাইয়াই চায় পোলাডা তারে জড়িয়ে ধরুক।
শইলের সবচেয়ে স্পর্ষকাতর জায়গা হৃদয়ে ঠাই দিক তাকে
মোরা যে ভালোবাসায় শইলে ট্যাটু আঁকি। তা আসলে
ভালোনাসার বহিঃপ্রকাশ তুমি যে তীরে গেথেছ ভালোবাসা
তা আসলে তোমার রক্ত নিংরানো কথা

মন

অভিশপ্ত জীবন মোর এতই অসুস্থ যে শারীরিক ও মানসিকভাবে অচল। তাই মুই থাইম্মা আছি বিছানার উপর
এই মিয়ারা কেউ কি আছো মোর লাইগ্গা একটা
মোবাইল টর্চ জ্বালাবে। হেতেই মুই উইঠ্ঠা ষেতে পারি দুই দিকের জানলা খুইল্লা

হেইয়া তোমরা খালি শারীরিক অবস্থার কথা বিবেচনা কর
মনে মনে যে এউক্কা মানুষ হয়ে যেতে পারি কর্পুর হেইয়া দেখোনা তাই তোমাগো জালে সাঁতরায়না মম

প্যারা

প্যারা শব্দটি আবিষ্কার হইছে মোর লাইগ্গা। মুই জীবনে এতোটাই প্যারা পাইছি যে এখন শারীরিক ও মানসিকভাবে অচল। কত কতাইতো কানে আয় মুই কিন্তু হেরে পাত্তাই দিতামনা। এহন দেখি হেইয়াই আমার কালসাপ হইছে আার মুই ব্যগাচ্যাগা, হুমরি খাইয়া পড়ছি চোরাবালুতে

- বিজ্ঞাপন -

যত্ন

অবশেযে জাইন্মা ফালাইছি
মানুষ গল্প নয় নিজের কথাই বলে।
এইষে মোগো এতো এতো যন্ত্রনা
তাও মানুষ নিজের কতা ভোলেনা
মইররা যায় তাও তার
জীবনের দুঃখকে
সে আলমিরায় তুলে রাখে
ন্যাপথালিন দিয়ে
যাতে হের কষ্ট দেখে অন্যরা শুধরে নিতে পারে

আমরাতো বেবাকটি খেজুর গাছ হের লাইগ্গা
অল্প পানিতেও কষ্টকে বাইররা উঠতে দেই
হেইয়া মনু তুমি ভয় পাইওনা এ কীবনে দুদু
অনাবিল সুখও আছে তাই টাইমলাইনে
তাকে রেখেছি পরম যত্নে

বিশ্বস্ত

মোরা দুজন দুজনকে দেখি নেটে
কেউ হাই হ্যালো করিনা। অথচ একটা
সোময় দুজনেই কি দুরন্ত ভালোবাসায় না
দ্যাহা করতাম। তুমি চলে গেছো হৃদয়কে পিছে ফেলে
মুই তাও অনুসন্ধিৎসু মোন নিয়ে তোমাকে দেহি
তুমিও কি মোরে দ্যাহো চোখের ব্যলকনিতে আলো ফেলে?

নাকি হেইয়া তুমি অন্ধকার হৃদয় নিয়ে চইলা যাচ্ছো এক বিরাট গহ্বরের দিকে। অন্ধকারই আইজ সবচেরে বিশ্বস্ত তোমার

সুখের ঠিকানা

ক্যান মোরা জীবনের ব্যর্থতাগুলি তুইল্লা ধরি আমাদের
সফলতাওতো কোম নয়। তা ভুইল্লা সারাদিন দুঃখবিলাসি
হয়ে থাকি। দুঃখের জিলাপি কড়াইতে জিলাপি ভাজতে ভাজতে নিজের জীবনটাই প্যাচে ফালাইয়া দিছি

- বিজ্ঞাপন -

আসোনা সহজ সরল হই ঝাইররা ফেলি প্যাচ
তাতেই পাওয়া যাবে সুখের ঠিকানা

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
জন্ম ও বেড়ে ওঠা বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে। বাবার চাকরির সুবাদে। ১৯৮৮ সাল থেমে লেখা লেখি শুরু। লিটল ম্যাগ আন্দোলনের কর্মী। বই বের হয়েছে ০৫টি। গুত্তা -ছড়াগর্থ সজলায়তন - কাব্যগ্রন্থ হার্মেন্টস কর্মীর পড়ে পাওয়া স্টাটাস- কান্যগ্রন্থ সোনারবাংলা রিকন্স্ট্রাকন - কাব্যগ্রন্থ নারকেল পাতার ঘড়িতে টাইম দেখি - কাব্যগ্রন্থ।
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!