নতুন বছরের শুরু থেকেই জাঁকিয়ে শীত পড়েছে দিল্লিতে, সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বিদ্যুতের চাহিদা। শুক্রবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রিরও কম।
দিল্লি রাজ্য সরকারের বিদ্যুৎ সরবরাহ দপ্তর স্টেট লোড ডেসপ্যাচ সেন্টারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার সকালে দেশের রাজধানীর বিদ্যুতের চাহিদা পৌঁছেছিল ৫,৩৪৩ মেগাওয়াটে। যা গত বেশ কয়েক বছরের শীতের মৌসুমে কখনও দেখা যায়নি।
এর আগে একদিনে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ চাহিদার রেকর্ডটি হয়েছিল ২০২০ সালে। ওই বছর শীতের মৌসুমে এক দিনে বিদ্যুতের চাহিদা ৫,২৪৭ মেগাওয়াটে পৌঁছেছিল। পরের বছর ২০২১ সালে দিল্লিতে একদিনে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা রেকর্ড করা হয়েছিলছিল ৫,১০৪ মেগাওয়াট এবং তার পরের বছর ২০২২ সালে একদিনে সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ৫,০২১ মেগাওয়াটে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, আগের দিন বুধবার সকালেই রাজধানী নয়াদিল্লি ও তার আশপাশের এলাকায় বিদ্যুতের চাহিদা ৫,০০০ মেগাওয়াটের সীমারেখা অতিক্রম করে গিয়েছিল।
শীতের দিল্লি এখন টেক্কা দিচ্ছে হিমালয়ের পাহাড়ি শহরগুলিকে। ভারতের কেন্দ্রশাসিত এই অঞ্চলের সব এলাকার তাপমাত্রা বর্তমানে ওঠানামা করছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
শুক্রবার আয়াননগর এলাকার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি। এটি এই মৌসুমে দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড। আগের দিন বৃহস্পতিবার আয়াননগরের তাপমাত্রা ছিল ২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এছাড়া এই দিন দিল্লির উজওয়া এলাকার তাপমাত্রা ২ দশমিক ৩ ডিগ্রি এবং দিল্লি রিজ ও লোধি রোড এলাকার তাপামত্রা ২ দশমিক ৮ ডিগ্রিতে নেমে এসেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।
দিল্লিতে ইতোমধ্যেই শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়ে গেছে উল্লেখ করে রাজ্য আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শীতের মৌসুমে স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে এসব এলাকার তাপমাত্রা বর্তমানে প্রায় ৪ ডিগ্রি কম।
রাজধানী নয়াদিল্লির সফদরজং এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ছিল ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবারও একই তাপমাত্রা বিরাজ করছে সফদরজংয়ে।
কনকনে ঠান্ডার পাশাপাশি বেলা পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকছে দিল্লি। শুক্রবার সকালেও দেখা গিয়েছে এই দৃশ্য! যার ফলে কমেছে দৃশ্যমানতা, এবং তার প্রভাব পড়েছে যানবাহন চলাচলেও।
নয়াদিল্লির ব্যস্ত পালম এলাকায় দৃশ্যমানতা নেমে এসেছিল ২৫ মিটারে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দিন ঘন থেকে অত্যন্ত ঘন কুয়াশায় ঢাকবে পঞ্জাব, হরিয়ানা, রাজস্থানসহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা।