তাইওয়ান প্রণালীর স্পর্শকাতর স্থান দিয়ে বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) যাত্রা করেছে একটি মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ, এতে চরম ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে চীন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী দাবি করছে, এটি বৈধ রুটিন কার্যক্রম ছিল। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বেইজিংয়ের হুমকি-ধামকি সত্ত্বেও গত কয়েক বছর ধরে স্পর্শকাতর তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে যাতায়াত করছে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র ব্রিটেন, কানাডার মতো দেশগুলোর জাহাজ। এতে চীনকে ক্ষুব্ধ করে তুলেছে। এমনকি পশ্চিমা দেশের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের তাইওয়ান সফরে ভালোভাবে নেয়নি শি জিনপিং সরকার।
এর মধ্যে নতুন করে তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে মার্কিন যুদ্ধ জাহাজ যাওয়ার প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আরলেই বার্ক-শ্রেণির গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার চুং-হুন প্রণালী দিয়ে অতিক্রম করে। তাইওয়ান প্রণালী দিয়ে চুং হুনের চলাচল মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিকের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতির প্রদর্শন।’
এদিকে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত চীনের দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গুয়ে এক বিবৃতিতে কড়া ভাষায় এর বিরোধিতা করে বলেন, চীন স্পষ্টভাবে এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে। তাইওয়ান প্রণালীজুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট বন্ধ করতে আহ্বান জানান এই মুখপাত্র।
তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন যুদ্ধ জাহাজগুলো নৌ চলাচলে স্বাধীন অনুশীলনের নাম করে প্রায়ই শক্তি প্রদর্শন করে। এ অবস্থায় চীন সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং যেকোনও ধরনের হুমকি ও উসকানির প্রতিক্রিয়া জানাতে প্রস্তুত আছে। নিজ দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা দৃঢ়ভাবে রক্ষা করবে বেইজিং।’
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয় বলছে, জাহাজটি চলাচলের সময় উসকানিমূলক কিছুই দেখেনি তারা।
উল্লেখ্য, তাইওয়ানকে নিজেদের একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করে আসছে চীন। শিগগিরই দ্বীপটিকে চীনের সঙ্গে একীভূত করা হবে বলে প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে বিষয়টিকে প্রত্যাখ্যান করে নিজেদেরকে স্বায়ত্বশাসিত দ্বীপ হিসেবে দাবি করে আসছে তাইওয়ান।