বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থচুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ আবারও পিছিয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষ করার জন্য এখন পর্যন্ত মোট ৬৯ বার সময় নেওয়া হয়েছে।
রবিবার (১ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন দাখিলের নতুন দিন ঠিক করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান আজ ১ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী এই আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম হ্যাক করে সুইফট মেসেজের মাধ্যমে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের সঞ্চিত অর্থ থেকে দশ কোটি ডলার ফিলিপিন্স ও শ্রীলঙ্কায় পাঠাতে বলা হয়।
শ্রীলঙ্কায় যাওয়া ২ কোটি ডলার আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ডলারের অধিকাংশই জুয়ার আখড়া হয়ে দেশটি থেকে পাচার হয়ে গেছে বলে গণমাধ্যমের খবর।
ঘটনার প্রায় এক মাস পর মার্চের শুরুতে বিষয়টি প্রকাশ্যে এলে ১৫ মার্চ রাজধানীর মতিঝিল থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের উপপরিচালক (হিসাব ও বাজেট) জোবায়ের বিন হুদা।
চুরির জন্য হ্যাকারদের দায়ী করে করা মামলাটিতে আসামির তালিকায় কারো নাম নেই।
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ আরসিবিসি থেকে ১৫ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কার একটি ব্যাংকে পাঠানো আরও ২০ মিলিয়ন ডলার উদ্ধার করেছে।
এ বছরের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংক যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে রিজাল ব্যাংকের বিরুদ্ধে চুরি হওয়া ৬৬ মিলিয়ন ডলার উদ্ধারের জন্য মামলা করে।