যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধের ‘প্রধান সুবিধাভোগী’: রাশিয়া

সাময়িকী ডেস্ক
সাময়িকী ডেস্ক
3 মিনিটে পড়ুন

রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ তাঁর দেশের দখলে থাকা ভূখণ্ডকে স্বীকৃতি দেওয়াসহ মস্কোর সব প্রস্তাব মানতে ইউক্রেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। নয়তো রুশ সেনাবাহিনীই বিষয়টির ফয়সালা করবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এ যুদ্ধের প্রধান সুবিধাভোগী যুক্তরাষ্ট্র।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন নিয়ে আলোচনায় আগ্রহ প্রকাশের পরদিন ল্যাভরভ তাস বার্তা সংস্থাকে সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন। কিয়েভ ও এর পশ্চিমা মিত্ররা পুতিনের আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। ইউক্রেন বলছে, রাশিয়া সৈন্য প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত তারা লড়াই চালিয়ে যাবে। খবর আলজাজিরার।

মঙ্গলবার প্রকাশিত সাক্ষাৎকারে ল্যাভরভ বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব হচ্ছে, ইউক্রেনের শাসকদের নিয়ন্ত্রণে থাকা এলাকাগুলোর নিরস্ত্রীকরণ ও নাৎসিমুক্তকরণ এবং সেখান থেকে পাওয়া আমাদের নতুন ভূখণ্ডসহ রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি দূর করা। শত্রুরা এগুলো সবই জানে। ব্যাপারটা খুবই সহজ। নিজেদের ভালোর জন্যই এসব মেনে নাও। না হলে এ ব্যাপারে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার তা রাশিয়ার সেনাবাহিনীই নেবে।’

ল্যাভরভ বলেছেন, ‘এটি কোনো গোপন বিষয় নয়, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ন্যাটো মিত্রদের কৌশলগত লক্ষ্য হলো আমাদের দেশকে উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল বা এমনকি ধ্বংস করা। এজন্য তারা যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিজয় চায়। যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেন যুদ্ধের প্রধান সুবিধাভোগী। তারা ইউরোপকে আরও পরাধীন করার জন্য রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহ্যগত ইউরোপীয় সম্পর্ক ভেঙে ফেলার ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য অনুসরণ করছে।’

- বিজ্ঞাপন -

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে এবং এটিকে আরও সহিংস করার জন্য সবকিছু করছে। পেন্টাগন খোলাখুলিভাবে আমেরিকার প্রতিরক্ষা শিল্পের কাছে আগামী বছরগুলোর জন্য ক্রয়াদেশের পরিকল্পনা করছে। তারা সামরিক ব্যয়ের বাধা সরিয়ে দিচ্ছে এবং রাশিয়াবিরোধী জোটের অন্য সদস্যদের কাছেও একই দাবি করছে।

তবে ল্যাভরভের প্রস্তাব নাকচ করে দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখালিও পোডোলিয়াক। তিনি বলেছেন, রাশিয়াকে বাস্তবতা বুঝতে হবে এবং যতই সেনা নিয়োগ বাড়ানো হোক না কেন, তা তাদের জয়ী হতে সাহায্য করবে না। পোডোলিয়াক বলেন, সেনার সংখ্যা বাড়ানো বা গোলাবারুদের জন্য আতঙ্কিত অনুসন্ধান, ইরানের সঙ্গে গোপন চুক্তি বা ল্যাভরভের হুমকি রাশিয়াকে সাহায্য করবে না। ইউক্রেন শেষ পর্যন্ত রাশিয়াকে নিরস্ত্রীকরণ করবে, সব দখলকৃত অঞ্চল থেকে আক্রমণকারীদের বিতাড়িত করবে। চুপচাপ ফাইনালের জন্য অপেক্ষা করুন।’

এদিকে বেলারুশ সরকার বলেছে, রাশিয়ার পাঠানো ইস্কান্দার কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে তারা। একই সঙ্গে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাও প্রস্তুত রয়েছে। এমন সময়ে এ খবর এলো যার ক’দিন আগেই বেলারুশ সফরে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন প্রেসিডেন্ট পুতিন।

গুগল নিউজে সাময়িকীকে অনুসরণ করুন 👉 গুগল নিউজ গুগল নিউজ

এই নিবন্ধটি শেয়ার করুন
একটি মন্তব্য করুন

প্রবেশ করুন

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

পাসওয়ার্ড ভুলে গেছেন?

আপনার অ্যাকাউন্টের ইমেইল বা ইউজারনেম লিখুন, আমরা আপনাকে পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার জন্য একটি লিঙ্ক পাঠাব।

আপনার পাসওয়ার্ড পুনরায় সেট করার লিঙ্কটি অবৈধ বা মেয়াদোত্তীর্ণ বলে মনে হচ্ছে।

প্রবেশ করুন

Privacy Policy

Add to Collection

No Collections

Here you'll find all collections you've created before.

লেখা কপি করার অনুমতি নাই, লিংক শেয়ার করুন ইচ্ছে মতো!