চীনে করোনায় সোমবার আরও পাঁচজন মারা গেছেন। এর আগেরদিন করোনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। এসব মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ৫২৪২ জনে দাঁড়িয়েছে বলে মঙ্গলবার চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের
সোমবার দেশটিতে ২ হাজার ৭২২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আগের দিন রোববার ১ হাজার ৯৯৫ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
শনাক্তদের মধ্য থেকে বিদেশ ফেরত নাগরিকদের বাদ দিলে স্থানীয়ভাবে আক্রান্ত রোগী সংখ্যা ২৬৬৫ জন। আগেরদিন সংখ্যাটি ১৯১৮ ছিল।
নতুন এসব রোগী নিয়ে ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত চীনের মূল ভূখণ্ডে শনাক্ত উপসর্গযুক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১৭৫ জনে।
এদিকে চীনজুড়ে নতুন করে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় শিল্পকারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। ট্রাকচালকদের অধিকাংশই অসুস্থ হয়ে পড়ায় বিঘ্ন ঘটছে সরবরাহ লাইনে। কারখানার অসংখ্য কর্মী কাজ ছেড়ে বাড়িতে চলে যেতে বাধ্য হয়েছেন। রাজধানীর বেইজিংয়ের অর্ধেক মানুষ নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন।
চলতি মাসের শুরুতে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং শূন্য নিয়ন্ত্রণ নীতিতে পরিবর্তন আনায় করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টটি ব্যাপক ছড়িয়ে পড়ে। হাটে-ঘাটে-কর্মক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।
চীনে করোনার বিরুদ্ধে কঠোর বিধি চলার সময় হঠাৎ করে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভ আরও ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় আইন শিথিল করে সরকার। কিন্তু শিথিল করার পর করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকলে কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই নির্দেশনা দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্বাস্থ্য সংস্থা ইনস্টিটিউট অব হেলথ মেট্রিক্স এবং অ্যাভ্যুলেশন (আইএইচএমই) ধারণা করছে, চীনে ২০২৩ সালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১০ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
আইএইচএমই পরিচালক ক্রিস্টোফার মুরে বলেন, ‘আমার ধারণা, আগামী বছরের এপ্রিলে চীনে করোনার সংক্রমণ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এমনকি, ওই সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনের ৩ লাখ ২২ হাজার মানুষ মারা যেতে পারেন। পাশাপাশি দেশটির চার ভাগের তিন ভাগ মানুষ প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন।’