ভারত মহাসাগরে ভাসমান অবস্থায় একটি ট্রলার থেকে ১০৪ জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ-শিশুকে উদ্ধার করেছে শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনী।
রবিবার (১৮ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় রাতে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
শ্রীলঙ্কান নৌবাহিনীর মুখপাত্র গায়ান বিক্রমাসুরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, উদ্ধার করা এসব রোহিঙ্গাদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
রয়টার্সকে নৌবাহিনীর এই কর্মকর্তা বলেন, শ্রীলঙ্কার উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার (৩.৫ নটিক্যাল মাউল) দূরে ওই ট্রলারটিকে ভাসতে দেখে নৌবাহিনীর সদস্যরা। ইঞ্জিন বিকল হয়ে গিয়েছিল সেটির।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নৌকার লোকজন জানিয়েছে, মিয়ানমারের আরাকানের উপকূল থেকে ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেছিল সেটি। মাঝপথে ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেয়েছে।
নৌবাহিনীর বিবৃতিতে জানানো হয়, ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সাগরে ভাসছিলেন ওই রোহিঙ্গারা। তারা মিয়ানমার থেকে ইন্দোনেশিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন।
এতে বলা হয়, ভাসতে থাকা ট্রলারে ৩৯ জন নারী, ২৩ শিশু ও ৮০ জন পূর্ণবয়স্ক মানুষ ছিলেন। তাদের প্রত্যেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। উদ্ধারের পর এসব রোহিঙ্গাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রোহিঙ্গা নিধন শুরু করলে সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে থাকে তারা। একপর্যায়ে সাগর পাড়ি দিয়ে এ দেশে ঢুকে টেকনাফসহ আশপাশে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। এই সংখ্যা সাড়ে ৭ লাখেরও বেশি।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের নিশ্চিহ্ন করে দিতে পরিকল্পিতভাবেই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল তাতমাদৌ নামে পরিচিতি মিয়ানমার সামরিক বাহিনী।
চরম নিপীড়নের সামনে টিকতে না পেরে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আরাকান থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।