আর্জেন্টিনার সঙ্গে কাতার বিশ্বকাপের ফাইনালে হার মেনে নিতে পারছে না ফরাসিরা। রাজধানী প্যারিসসহ অন্যান্য শহরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে ফ্রান্সের সমর্থকদের। নিজ দেশের এমন পরাজয়ে শহরের সড়কে ভাঙচুর চালালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে। এছাড়াও দেশটির আরও কয়েকটি শহরে দাঙার ঘটনা ঘটেছে।
ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ফ্রান্সের প্যারিস, নিছ, লিওনসহ বিভিন্ন শহরের রাস্তায় আগে থেকেই জড়ো হতে থাকেন ভক্তরা। তবে যেকোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে ফ্রান্সজুড়ে ১৪ হাজার অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
দ্য সানের প্রতিবেদনে এসেছে, প্যারিসের ঐতিহাসিক শঁজ এলিজেতে সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় দাঙ্গা পুলিশ।
ফ্রান্স বিশ্বকাপ জয় করবে, এই আশায় লাখ লাখ মানুষ ফ্রান্সের বিভিন্ন জায়গায় বিজয় উদযাপনের জন্য ভিড় করতে থাকে। বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে খেলে দেখে ফ্রান্সের ভক্তরা। তবে হেরে গেলে পরিস্থিতি বদলে যায়। সড়কে ভাঙচুর ও আতশবাজি ফুটিয়ে বিশৃঙ্খলা করতে দেখা যায় অনেককে।
প্যারিসেও একই পরিস্থিতির কথা জানিয়েছে স্থানীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম। ক্ষুব্ধ সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামানের পাশাপাশি কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পুলিশ। বিশৃঙ্খলার দায়ে লিয়ন থেকে বেশ কয়েকজনকে আটক হয়েছেন। নিছ শহরেও পুলিশ ও ফুটবল সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়।
অন্যদিকে আর্জেন্টাইন সমর্থকদের পরিস্থিতি ছিল একেবারেই আলাদা। ফ্রান্সে আর্জেন্টিনার দূতাবাসের সামনে খেলা দেখতে জড়ো হন ভক্তরা। দলের ঐতিহাসিক বিজয়ে উল্লাসে ফেটে পড়েন তারা।
বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিঃসন্দেহে সেরা ফাইনাল ছিল ফ্রান্স-আর্জেন্টিনার ম্যাচ। গোটা ম্যাচ জুড়ে বার বার বদলিয়েছে খেলার রঙ। সত্যিই যেন মেসি বনাম এমবাপ্পের যুদ্ধ। তাতে ব্যক্তিগত অর্জনে হেরেছেন মেসি, করেছেন জোড়া গোল। এমবাপ্পের হ্যাট্রিক। অতিরিক্ত সময়ের ৩-৩ শেষে রুদ্ধশ্বাস টাইব্রেকার। কিন্তু শেষ হাসি আর্জেন্টিনার। ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান। ফরাসিদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মেসি-ডি মারিয়াদের আর্জেন্টিনা।সূত্র: নিউজ ১৮