আমরা সকলেই জানি ধর্ষণ হচ্ছে কোন নারীর সাথে কোন পুরুষ যখন নারীটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে বলপূর্বক যৌন সম্পর্কে করে। ধর্ষণ নারীর প্রতি অতি পুরাতন অমানবিক আক্রমণ এবং জঘন্যতম অপরাধ বলে পরিগণিত। তথাপি ধর্ষণ কখনো বন্ধ হয়নি। ধর্ষণ সংঘঠিত হয় লোক চক্ষুর অন্তরালে, সংগোপনে। বিস্ময়কর এটাই যে তথাকথিত সমাজ ও সভ্যতার অগ্রগতির সাথে সাথে এই অপরাধটি বিলুপ্ত হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক ছিল কিন্তু তা হয়নি উত্তরোত্তর এই অপরাধটি আশঙ্কাজনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে এবং রীতিমত প্রতিকারবিহীন থেকে গেছে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন শহরে গ্রামগঞ্জের আনাচে কানাচে অলিতেগলিতে এমন কি নারীর জন্য সব চাইতে নিরাপদ গৃহের অভ্যন্তরেও নারী ও শিশুরা নিরন্তর ধর্ষিত হচ্ছে।
তনু নামক এক তরুণী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর তাঁকে হত্যা করা হয় ও পরে তাঁর বিধ্বস্ত দেহাবশেষ পথের ধারে ফেলে রেখে যায়। বাংলাদেশের নাগরিকরা বিশেষ করে নারীসমাজ অত্যন্ত সরবে তনু হত্যার প্রতিবাদে ঘৃণা প্রকাশ করেন ও প্রতিবাদে সোচ্চার হন। ধর্ষক তথা হত্যকারীর সমুচিত শাস্তি দাবী করেন। প্রধান দাবী ছিল অপরাধী অথবা অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচারাধীনে আনা। প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল সারা দেশে কিন্তু ধর্ষণকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে নিরাপদেই থেকে গেছে। পরবর্তীতে তনুর ধর্ষনকারী ও হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তনু ধর্ষণ ও হত্যার পর দেশে ধর্ষণ থেমে যায়নি, প্রতিদিন কেউ না কেউ ধর্ষিতা হচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে এইসব ধর্ষিতাদের মধ্যে রয়েছে সকল শ্রেনীর নারীরা এবং তারমধ্যে আছেন আদিবাসী-পাহাড়ি রমণী ও সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরাও। তদুপরি মাদ্রাসার শিশু কিশোর কিশোরীরাও ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই পায় না। আশ্চর্যের বিষয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই ধর্ষণের ঘটনাগুলি খবর মাত্র। এই অপরাধীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ক্ষমতাশীল শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এবং ধরাছোঁয়ার বাইরে তাঁদের অবস্থান।
দেশের আদিবাসী, পাহাড়ি ও হিন্দু পরিবারগুলি সবসময় ভীত ও সন্ত্রস্ত হয়ে থাকেন, উদ্বেগের মধ্যে দিন যাপন করেন। পুলিশের কাছ থেকে এরা সাহায্য পান না ফলে কোন কেস হয় না। এ নিয়েও আমাদের আইন ও বিচার ব্যবস্থা নীরব। এই সন্ত্রাসের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেক সময় অনেক হিন্দু পরিবার দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হচ্ছেন।
অপরাধের বিচার না হলে অপরাধ থামবে না। অপরাধীরা নির্ভয়ে নির্বিবাদে অপরাধ করে যাবে। অনেক ক্ষেত্রেই অভিযোগ রয়েছে এরা ধর্ষণকারী হিসেবে পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ তাদের স্পর্শ করে না। অথবা কোন রহস্যজনক কারণে এরা আইনের ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। যদি বা ধরা পড়ে অনেক সময় এরা অজ্ঞাত কারণে ছাড়াও পেয়ে যায়।
এই ব্যাপক সংখ্যক ধর্ষণ অপরাধকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে চালিয়ে দেয়ার একটা প্রবণতা রয়েছে অনেক ক্ষেত্রেই। এটা যে একটা সামাজিক ব্যধি তার স্বীকৃতি নেই। আর যখন সমস্যার অস্তিত্বকে অস্বীকার করা হয় তখন তা নির্মূল করা কঠিন হয়ে পরে। সবচাইতে করুণ চিত্র হচ্ছে পুলিশ অনেক সময় অপরাধের শিকারকেই উল্টো দোষারোপ করে এবং অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশ কর্তৃক ভিকটিম পুনর্বার ধর্ষিতা হয়। ভিকটিমদের আইন রক্ষাকারীদের হাতে নির্যাতিত হওয়ার ঘটনাও নতুন নয়।
বলাই বাহুল্য ধর্ষণের উদ্দেশ্য শুধু যৌন সম্ভোগ নয়। দৈহিক শক্তিতে নারী অপেক্ষাকৃত দুর্বল এবং যখন পুরুষ দৈহিক শক্তি প্রয়োগ করে নারীর শরীরের উপর দখল নেয় তা পাশবিক এবং কাপুরুষোচিত। এটি অবিসংবাদিত যে এটি একটি প্রাচীন ও ঘৃন্যতম পদ্ধতিতে নারীর প্রতি আঘাত হানা নারীকে পরাস্ত করা। এই আক্রমণ কখনো সংগঠিত ও কখন অসংগঠিত। ধর্ষনণ নারীকে দৈহিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং তাদের দৈহিক ও মানসিক বিপর্যয় দীর্ঘমেয়াদী। এর জের তাঁদের সারা জীবন বইতে হয়। প্রথমতঃ ধর্ষিতা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে যেতে পারে। দ্বিতীয়ত তাঁকে সামাজিকভাবে কলঙ্কিত ও চিহ্নিত হতে হয়, তাঁর পরিবার প্রিয়জন অসম্মানিত হয় ও অনেক ক্ষেত্রে এক ঘরে হতে হয়। ধর্ষণের জন্য ধর্ষিতা ও তাঁর পরিবারকে বিরাট সামাজিক মুল্য দিতে হয়। ধর্ষিতার যে সামাজিক ও মানসিক ক্ষতি হয় সেই বোঝা তাকে সারা জীবন বহন করতে হয়। এ বিষয় নিয়ে বাংলাদেশে কোন অনুদৈর্ঘ অধ্যয়ন (longitudinal study) করা হয়নি তবে বীরাঙ্গনাদের জীবনের দিকে তাকালেই তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
আমরা দেখতে পাই ধর্ষণ দুই ধরনের হয়ে থাকে। এক হচ্ছে সংগঠিত ধর্ষণ আর দ্বিতীয় প্রকার হচ্ছে যথেচ্ছভাবে (random) ধর্ষণ। প্রথমতঃ সংগঠিত ধর্ষণ বুঝতে ও প্রমাণ দেখতে খুব বেশী দূরে যেতে হবে না সে প্রমাণ আমাদের হাতের কাছেই রয়েছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় লক্ষ লক্ষ নারী লাঞ্ছিত হয়েছে পাকিস্তানী আর্মি ও তাঁদের সহযোগী অনুচর আলবদর, রাজাকার, আলশামস কর্তৃক। সেই ক্ষত আমাদের দেহ ও হৃদয় থেকে আজও শুকায়নি। বসনিয়া ও সারায়োভোতেও এর দৃষ্টান্ত রয়েছে তবে তা ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধকালীন পাকিস্তানী সৈনিক ও তাদের সহচরদের কর্তৃক বাঙালী নারীদের উপর নির্যাতনের কাছে ন্যুনতম।
সংগঠিত ধর্ষণ যুদ্ধকালীন সময়ে অথবা সাম্প্রদায়িক অস্থিরতা বা বর্ণবাদজনিত রায়টের সময় ব্যাপক হারে প্রতিপক্ষ ভিন্ন দল বা গোষ্ঠির নারীদের ধর্ষণ করা। যুদ্ধকালীন ধর্ষণের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি জাতির পৌরুষ, গর্ব এবং শ্লাঘায় আঘাত হানা, তাঁদের মনোবল ভেঙে দিয়ে সেই জাতিটিকে পর্যুদস্ত ও পরাস্ত করা। আক্রান্ত অথবা আক্রান্তকারীদের আক্রমনকারী সৈন্যরা তাঁদের নারী সদস্যদের সাথে বলপূর্বক যৌনক্রিয়া করা। তারা আক্রান্ত জাতির নারীদের তাঁদের সুক্রকীট দ্বারা প্রতিপক্ষের নারীদের গর্ভবতী করাই তাদের উদ্দেশ্য। সেইসব রমণীদের সন্তান তাঁদের ‘জিন’ বা রক্তধারা বহন করবে।
বাঙালী নারী বাংলাদেশকে রাহুমুক্ত করার সংগ্রামে অপরিসীম মুল্য দিয়েছেন। যুদ্ধকালীন ও যুদ্ধপরবর্তী অভিজ্ঞতা নিতান্ত বেদনাদায়ক যে তাঁরা কেবল সম্ভ্রম হারায়নি বরং তারা তাঁদের সর্বস্ব হারিয়েছেন। যুদ্ধ ধর্ষিতা কন্যাকে পিতামাতা গ্রহণ করেননি, স্বামী তার স্ত্রীকে ফেরত নেয়নি এবং ভাই বোনের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আত্মীয়স্বজনরা এই ধর্ষিতা, হৃতসর্বস্ব, অপরিসীম আঘাত জর্জরিত নারীদের ঘরে ফিরিয়ে নেয়নি। তাঁরা সেই তাঁদের চিরদিনের চিরচেনা ঘরে ফিরে যেতে পারেননি। জীবনের অধিকার থেকে এই নারীরা চিরতরে বঞ্চিত হয়েছে। আমাদের সরকার ও সমাজ তাঁদের বঞ্চিত করেছে। দেশ ও জাতির জন্য তদের ত্যাগের মুল্যায়ন করা হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস তাঁরা আর্মি ব্যারাকে কাটিয়েছেন অবর্ণনীয় দৈহিক ও মানসিক নির্যাতনের মধ্য দিয়ে। প্রতিটি দিন তাঁরা নরক যন্ত্রণা ভোগ করার পর দেশ যখন স্বাধীন হল। তথাপি তারা সর্বস্ব ত্যাগের করার বিনিময়ে দেশ ও জাতির কাছ থেকে কিছুই পায় নি। জাতি হিসেবে আমাদের এই চরম দীনতা যে আমরা আমাদের মা, বোন, স্ত্রী ও কন্যা সন্তানদের সম্ভ্রম এবং সম্মান দিতে ব্যর্থ হয়েছি। তাঁদের যথাযথ মুল্যায়ন করিনি পূনর্বাসিত করিনি। বীরাঙ্গনা নয় তাদের মুক্তিযাদ্ধার সম্মানে ভূষিত করাই যুক্তিযুক্ত ছিল।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ধর্ষণের কারন আমরা তাদের রক্ষা করতে পারিনি। আমাদের ক্ষমতা ছিলনা। পরিতাপের বিষয়, স্বাধীন বাংলাদেশেও তাদের সমাজচ্যুত অনাকাঙ্খিত হয়েই থাকতে হয়েছে। সম্মান ও ভালাবাসা বঞ্চিত দীর্ঘ ঊষর জীবন অতিবাহিত করেছেন তারা।
আমাদের রাষ্ট্রযন্ত্র ও সমাজের ধারক বাহকরা সকলেই পুরুষ। তাঁদের সিদ্ধান্তেই সবকিছু নিয়ন্ত্রিত হয় নির্ধারিত হয়। আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্র ব্যবস্থা ব্যর্থ হয়েছে তাঁদের যথাযোগ্য পুনর্বাসনে। পরিবর্তে তাঁদের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছিল বারাঙ্গনার জীবন। সমাজের কাছে বীরাঙ্গনা মানেইত ধর্ষিতা নারী যারা অপবিত্র ও অশুচি কাজেই তারা বিবাহের অযোগ্য ও সমাজচ্যুত।
বর্তমানে বাংলাদেশের অমুসলিম সম্প্রদায়ের নারীরা অতিব নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে জীবন যাপন করে থাকে। এদের মেয়েরা ধর্ষিত হচ্ছে আর্মি, পুলিশ ও সমাজের প্রভাবশালীদের দ্বারা। অমুসলিম নারীদের উপর এই আক্রমনকে সংগঠিত আক্রমন বলে অভিহিত করা যেতে পারে। এরা কখনো আইনের চৌকাঠ ডিঙোতে পারেনা কাজেই বিচার পাওয়ার ঘটনা বিরল।
দ্বিতীয় প্রকারের ধর্ষণ সাধারণত পুরুষ অসতর্ক মুহূর্তে নারীকে একাকী পেয়ে জোরপূর্বক আক্রমণ করে যৌন ক্ষুধা চরিতার্থ করে। মানসিক বিজ্ঞান অনুসারে এরা অসুস্থ এবং বিকৃত রুচিসম্পন্ন। এই আক্রমণ সচরাচর সহিংস ও যন্ত্রণাদায়ক হয়ে থাকে। ধর্ষণ পরবর্তী ফলাফল ও পরিণাম সংগঠিত ধর্ষণের থেকে আলাদা নয়।
তৃতীয়ত একাধিক বা একদল পুরুষ দৈহিক বলপ্রয়োগ ও সহিংস্রতার সাথে একজন নারীকে উপুর্যপরি ধর্ষণ করে। এর পরিণাম জটীল, ভয়াবহ ও বেদনাদায়ক। ভুক্তভোগীরা কখনোই সেই দুঃস্বপ্ন ভুলতে পারে না।আর এক প্রকারের ধর্ষন গণধর্ষণ বা কাল্ট দেবতা বা ভগবানকে তুষ্ট করার জন্য। বালিকা ঋতুমতী হবার সংগে সংগে তাঁকে দেবতাকে উৎসর্গ করা হয়। পুরোহিত বাহ্মণরা একের পর এক সেই নাবালিকাটিকে বলপূর্বক ধর্ষণ করেন। বলির পশুর মত এই বালিকাটির উপর এই পাশবিক আক্রমণ যখন চলতে থাকে তখন বদ্ধদ্বার মন্দিরের বাইরে বসে পুরো গ্রামের নারী ও পুরুষেরা তাদের কন্যা সন্তানের উপর পাশবিক নির্যাতন উদযাপন করেন। তারা নাবালিকার আর্ত চীৎকার শুনে যায়। আর সমাজবাসীরা তাদের কন্যাকে দেবতার ভোগে সমর্পিত করার পুণ্য অর্জন করেন। পুরোহিত ব্রাহ্মণদের সংখ্যা পাঁচ থেকে দশজন ও হতে পারে।
দক্ষিণ ভারতের হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে এই বর্বর প্রথা প্রচলিত আছে। নারীর দেহ ও সত্ত্বার উপর অধিকার বলবৎ করার ও নারীর সকল প্রকার শক্তি কেড়ে নেয়ার প্রাচীনতম কৌশল এবং ধর্ষণ হচ্ছে পিতৃতান্ত্রিক তথা পুরুষতান্ত্রিক ব্যবস্থার আদিম কৌশল। সেই প্রাচীন নারীবিদ্বেষ (misogyny) আজও পৃথিবীতে অব্যাহত রয়েছে। তাই ধর্ষণকারীরা শাস্তি পায় না কারণ বিচার ব্যবস্থা চোখ থাকতেও অন্ধ বলে। কারণ যারা বিচার করবেন তারাও নারীবিদ্বেষীদের (misogynist) প্রতিনিধিত্বকারী।
সর্ব প্রকারের ধর্ষণই নারীর প্রতি নির্দয় ও নিষ্ঠুর। দৈহিক শক্তি, অস্ত্রের ক্ষমতা ও দম্ভ প্রদর্শন। তবে এই প্রদর্শন এককভাবে নারীকে লক্ষ্য করে নয়। রাজায় রাজায় যুদ্ধেও নারী শত্রুদের প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য। যেমন রাবণ সীতাকে হরণ করেছিলেন রামকে তথা অযোধ্যার রাজবংশকে পরাস্ত ও পর্যুদস্ত করার জন্য।
রাবণের প্রাসাদে আতিথ্য বা বন্দীত্বের পরিণাম স্বরূপ সীতাকে সতীত্বের পরীক্ষা তথা একাধিকবার অগ্নিপরীক্ষা দিতে হয়েছিল। সীতার দুর্ভোগের কারণও ছিল প্রাচীন রণনীতির একটি কৌশল মাত্র, রামের মনোবল ও অহংকার গুড়িয়ে দেয়া।
বাংলাদেশের মেয়েরা দেশের স্বাধীনতার জন্য সেই চিরপুরাতন রণকৌশলের নির্মম শিকার হয়েছিলেন।
মধ্যপ্রাচ্যে আইসিস কর্তৃক নারী ধর্ষণও সেই একই পুনরাবৃত্তি। শত্রুর অহংকার, মনোবলকে সম্পূর্ণরূপে পদদলিত করে পরাস্ত করা।
ধর্ষণ সবসময় যৌন আনন্দ চরিতার্থের চাইতে পুরুষ তার শক্তিমত্ত্বা প্রদর্শন ও সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্য করে থাকে। তাদের শক্তির কাছে নারী অক্ষম এবং পদানত। নারীকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ প্রতিরোধ করা। ধর্ষণ তাৎক্ষনিক কর্ম নয় এর পশ্চাতে সমাজিক, রাজনৈতিক, মানসিক ও দৈহিক বিষয়গুলিকে বুঝতে ও বিশ্লেষন করবার সম্যক প্রয়োজন রয়েছে। ধর্ষণ প্রতিরোধ করার আইন প্রনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ। সামাজিক সচেতনতা ও সমাজকে শিক্ষিত করা অতীব প্রয়োজনীয়। তা না হলে মনুষ্য সমাজ কখনো এই ব্যাধিমুক্ত হবেনা।
ধর্ষণ প্রবনতা সমাজের সঙ্কট, সমাজের ব্যধি। ধর্ষিতার জন্য যন্ত্রনাদায়ক ও সুন্দর ও সম্ভাবনাময় জীবনের অপচয়।