আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদস্যদের মাঝে আবারও নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার আফগানিস্তান-পাকিস্তানের চামান-স্পিন বোলদাক সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে এই সংঘর্ষে অন্তত একজন নিহত ও আরও এক ডজনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
এর আগে, গত রোববার আফগানিস্তানের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ব্যাপক গুলি ও কামানের গোলাবর্ষণে সীমান্তের ওপারে পাকিস্তানের ৮ বেসামরিক নাগরিক ও এক আফগান সৈন্যের প্রাণহানি ঘটে। ওই দিন আফগান বাহিনীর গোলায় আহত হন আরও অন্তত ১৭ পাকিস্তানি।
সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মাঝে নতুন করে এই সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বেলুচিস্তানের প্রাদেশিক কর্মকর্তা জাহিদ সেলিম রয়টার্সকে বলেছেন, রোববারের সংঘর্ষে ক্ষতিগ্রস্ত সীমান্ত বেড়ার একটি অংশ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষীরা মেরামত করতে গেলে সংঘর্ষের শুরু হয়। তবে নতুন এই সংঘাতের বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আফগানিস্তানের কান্দাহার প্রদেশের পুলিশের মুখপাত্রের মন্তব্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত রোববারের ওই সংঘর্ষের জন্য উভয়পক্ষ পরস্পরকে দায়ী করেছে। বেলুচিস্তান প্রদেশের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবের দায়িত্বও পালন করছেন সেলিম। তিনি বলেছেন, বৃহস্পতিবার আফগান সীমান্তরক্ষীদের ছোড়া মর্টারের গোলা পাকিস্তানের বেসামরিক বসতিতে আঘাত হেনেছে।
পাকিস্তানের সীমান্ত এলাকা চামানের একজন স্থানীয় কর্মকর্তা বলেছেন, এতে একজন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত এবং নারী ও শিশুসহ আরও ১২ জন আহত হয়েছেন। ওই সীমান্তে এখনও সংঘর্ষ চলছে।
আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মাঝে কয়েক দশকের সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। গত কয়েক মাসে একই ধরনের কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনার পর চামান ক্রসিং কয়েকদিনের জন্য বন্ধ ছিল। দুই দেশের দ্বিতীয় ব্যস্ততম সীমান্ত ক্রসিং এলাকা চামান-স্পিন বোলদাক। এই সীমান্ত ক্রসিংয়ের মাধ্যমে স্থলবেষ্টিত আফগানিস্তানে প্রচুর পরিমাণ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়।
সূত্র: রয়টার্স।