বাণিজ্যিক উৎপাদনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট। কেন্দ্রটির বাণিজ্যিক উৎপাদনের দিনক্ষণ (সিওডি) প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এর রিয়্যাক্টরটি উন্মুক্ত রেখে বিভিন্ন সিস্টেমের ফ্লাশিং’য়ের কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী পর্যায়ে সম্পন্ন হবে বিশেষায়িত পোস্ট ইনস্টলেশন ক্লিনিং (পিআইসি)।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রোসাটম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এটিতে যন্ত্রপাতি ও পাইপলাইন স্থাপনের সময় কোনও ময়লা থাকলে তা পরিষ্কার করার জন্য ফ্লাশিং পদ্ধতিতে সংযোগকারী পাইপলাইন ও প্রাইমারি সার্কিটের পাইপলাইনে মিনারেলমুক্ত পানি রিয়েক্টর ভেসেলে (চুল্লির আধার) প্রবাহিত করা হয়েছে।
এএসইর ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণ প্রকল্প পরিচালক আলেক্সি ডেইরি এ প্রসঙ্গে বলেন, রিয়েক্টর উন্মুক্ত রেখে সক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় নিরাপত্তাব্যবস্থাগুলোর ফ্লাশিং প্রি-কমিশনিং কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ। সব যন্ত্রপাতি ও প্রক্রিয়াব্যবস্থার অনেকগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে। আর এটি হচ্ছে সেগুলোর মধ্যে প্রথম।
রিয়্যাক্টরের সবকিছু সঠিকভাবে স্থাপন করা হয়েছে কি-না এবং এটি অপারেশন্সের জন্য প্রস্তুত কি-না, তা এই ফ্লাশিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হয়। এ-ছাড়া নিরাপত্তাব্যবস্থা ও স্বাভাবিক অপারেশন্স ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত পানির পাম্পগুলোর কার্যকারিতাও এর মাধ্যমে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, রূপপর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের জেনারেল ডিজাইনার ও কন্টাক্টর রাশিয়ার রোসাটম করপোরেশনের প্রকৌশল শাখা। প্রকল্পটিতে দুটি ইউনিট স্থাপিত হবে, প্রতিটির উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।