শেষ দল হিসেবে কাতার বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স। ইংল্যান্ডকে চতুর্থ কোয়ার্টার ফাইনালে ২-১ গোলে হারিয়েছে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
প্রথমার্ধে অরেলিয়ে চুয়ামেনির স্ট্রাইকে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিল ইংল্যান্ড। বিরতির পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সমতা ফেরায় তারা। পেনাল্টি স্পট থেকে সমতা ফেরান হ্যারি কেইন। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ফ্রান্সকে জয়সূচক গোল এনে দেন অলভিয়ে জিরু।
২-১ গোলের জয় নিয়ে সেমিতে পৌঁছানো ফ্রান্স বুধবার রাত ১টায় দ্বিতীয় সেমিফাইনালে খেলবে এবারের টুর্নামেন্টের সারপ্রাইজ প্যাকেজ মরক্কোর বিপক্ষে।
আল বাইত স্টেডিয়ামে প্রত্যাশামতো ঝোড়ো শুরু করে ফ্রান্স। প্রথম সুযোগও পায় তারা। ১১ মিনিটে আতোয়াঁ গ্রিজমানের ক্রসে হেড করে লক্ষভেদ করতে ব্যর্থ হন অলিভিয়ে জিরু।
মিনিট ছয়েক পর দারুণ এক কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ইংল্যান্ডের বক্সের ডান প্রান্তে বল পেয়ে যান গ্রিজমান। তিনি পাস বাড়ান বক্সের বাইরে ফাঁকায় থাকা চুয়ামেনির দিকে।
দারুণ শটে ইংল্যান্ডের গোলকিপার জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করেন রিয়াল মাদ্রিদের এ তরুণ তারকা।
পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে জোরালোভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করে ইংল্যান্ড। মিনিট তিনেক পর লুক শর ফ্রি কিক সরাসরি জমা পড়ে ফ্রান্সের গোলকিপার উগো লরিসের গ্লাভসে।
২২ মিনিটে বক্সের ভেতর বল পেয়ে নিজের মার্কারকে ডজ দিয়ে শট নিলেও লরিসকে ফাঁকি দিতে পারেননি ইংল্যান্ডের সেরা স্ট্রাইকার হ্যারি কেইন।
এর ৭ মিনিট পর আবারও আঘাত হানার চেষ্টা করেন কেইন। তার শট পাঞ্চ করে দলকে আবারও নিরাপদে রাখেন লরিস।
প্রথমার্ধের বাকি সময়ে গোলের চেষ্টা করেও পরিষ্কার সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ফ্রান্স বা ইংল্যান্ড। ফলে ওই এক গোলে শেষ হয় প্রথম ৪৫ মিনিটের খেলা।
বিরতির মিনিট দশেকের মধ্যে ম্যাচে ফেরে ইংল্যান্ড। ৫২ মিনিটের সময় নিজেদের বক্সে ইংলিশ ফরোয়ার্ড বুকায়ো সাকাকে ফাউল করেন চুয়ামেনি। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন।
স্পট থেকে শট নিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন কেইন। এই গোলের মাধ্যমে ইংল্যান্ডের জার্সিতে ওয়েইন রুনির সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫৩ গোলের মালিক এখন টটেনহ্যাম হটস্পারের এ স্ট্রাইকার।
সমতা ফিরিয়ে উজ্জীবিত হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। বেশ কয়েকবার আক্রমণ চালায় তারা ফ্রান্সের রক্ষণে। তবে গোল পায়নি।
অন্যদিকে কাউন্টার থেকে গোল আদায় করে নেয় ফ্রান্স। ৭৮ মিনিটে গ্রিজমানের কর্নার ইংল্যান্ডের রক্ষণভাগ ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেনি। ফিরতি বল পেয়ে যান গ্রিজমান নিজেই।
এবারে তিনি ক্রস বাড়ান বক্সে থাকা জিরুর উদ্দেশে। মার্কারকে ফাঁকি দিয়ে তিনি হেড করে বল জালে জড়ান।
এর দুই মিনিট পরই আবারও নিজেদের বক্সে ফাউল করে ফ্রান্স। থিও হার্নান্দেস এবারে বক্সে ফেলে দেন বদলি হিসেবে নামা মেসন মাউন্টকে। রেফারি ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্টের সাহায্য নিয়ে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন।
এবারে স্পট থেকে বল বারের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন কেইন। হতাশায় ডুবে যায় ইংল্যান্ড। ম্যাচে ফিরে আসার মতো যথেষ্ট সময় ছিল না তাদের কাছে।
শেষ মুহূর্তে ফরাসি বক্সের বাইরে পাওয়া ফ্রি-কিক কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন মার্কাস র্যাশফোর্ড। ফলে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ইংল্যান্ডকে বিদায় করে শেষ চার নিশ্চিত করে ফ্রান্স।