মানবাধিকার লঙ্ঘন ও পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে চলা বিক্ষোভে দমন-নিপীড়নের অভিযোগে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্থানীয় সময় শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ থেকে দেয়া বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়।
ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর এসব কর্মকর্তা ছাড়াও বিশ্বের আরও ৮ দেশের ৩৭ জনের বেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা হলেন কেরমানশাহ প্রদেশের কমান্ডার আলী আকবর জাভিদান, সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের কমান্ডার ইব্রাহিম কৌচাকজাই ও ইরানের কুখ্যাত রেজাই শাহ কারাগারের কর্মকর্তা কারাম আজিজি।
এর মধ্যে আলী আকবর জাভিদানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে নারী ও শিশুসহ বিক্ষোভকারীদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা পাওয়া রেজাই শাহ কারাগারের কর্মকর্তা কারাম আজিজি। ইরানের ওই কারাগারে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক বন্দিদের আটক রাখা হয়।
সিস্তান-বেলুচিস্তান প্রদেশের কমান্ডার ইব্রাহিম কৌচাকজাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সেপ্টেম্বরে তিনি ১৫ বছরের এক কিশোরীকে ধর্ষণ করেন।
সঠিকভাবে হিজাব না পরার অভিযোগে ইরানের নৈতিকতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনির মৃত্যু হয় গত ১৬ সেপ্টেম্বর। এ ঘটনার কিছুদিনের মধ্যেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর পোশাকের স্বাধীনতার দাবিতে পুরো ইরানে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রয়েছে আলবেনিয়া, বসনিয়া, মন্টেনিগ্রো, কসোভো, উত্তর মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, বেলারুশ, লাইবেরিয়া, গুয়াতেমালা, রাশিয়া ও মিয়ানমারের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান।