ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচে অসাধারণ খেলেছেন ডানহাতি অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। দলের বিপদে ব্যাট হাতে খেলেছেন ম্যাচজয়ী ইনিংস। আবার বল হাতেও প্রয়োজনের সময় এনে দিয়েছেন উইকেট। তারই অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ভারতকে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
মিরপুর শের-ই বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারতকে ৫ রানে হারায় বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস এবং বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ২ উইকেট নিয়ে এই জয়ের নায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মিরপুরে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাত্র ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে বসছিল দলটি।
দিবারাত্রির ম্যাচে দুপুরে শুরুতে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান ৯ রান করা ওপেনার এনামুল হক বিজয়। এরপর লিটন দাসকে নিয়ে ইনিংস বড় করতে থাকেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
তবে ব্যাট হাতে এদিন ভক্তদের হতাশ করেছেন অধিনায়ক লিটন দাস। দলীয় ৩৯ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৭ রান করে ফিরে যান এই তারকা ওপেনার। পরবর্তীতে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে না পেরে ২১ রান করে ফিরে যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
মাত্র ৫২ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে টাইগাররা। এরপর আসেন সাকিব আল হাসান। ইনিংসের ১৭তম ওভারে বল করতে আসা ওয়াসিংটন সুন্দরকে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে খাড়া ওপরে তুলে দেন তিনি। সেটিই তালুবন্দি করে নেন ধাওয়ান।
পরের ওভারে আক্রমণে ফিরে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপকে একেবারে চুরমার করে দেন ওয়াসিংটন। পর পর দুই বলে ফেরান মুশফিকুর রহিম ও আফিফ হোসেনকে।
সপ্তম উইকেট জুটিতে চাপ সামলে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। ত্রাতারূপে আবির্ভূত হন মাহমুদউল্লাহ ও মিরাজ। দলীয় ২১৭ রানে মিরাজের সঙ্গে ১৪৮ রানের জুটি গড়ে ফিরে যান ৯৬ বলে ৭টি চারসহ ৭৭ রান করা মাহমুদউল্লাহ।
মিরাজ-মাহমুদুল্লাহর ১৪৮ রানের জুটিটি সপ্তম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের জুটি। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে সপ্তম উইকেটে মিরাজ ও আফিফ মিলে অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটি গড়েন।
মাহমুদু্ল্লাহ ফিরে গেলেও থামেননি আগের ম্যাচের নায়ক মিরাজ। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞুরি তুলে নিয়ে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০০ রান করেন তিনি।
অষ্টম উইকেটে ব্যাট হাতে নেমে টি-টোয়েন্টি ধরণে ব্যাট করেন নাসুম আহমেদ। একইসঙ্গে চার-ছক্কা মারতে শুরু করেন মিরাজও। তুলে নেন ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি। অপরদিকে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১১ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন নাসুম। শেষ চার ওভারে তারা তোলেন ৫৪ রান। ফলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭১ রান।
ভারতের হয়ে ৩৭ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট শিকার করেন ওয়াসিংটন সুন্দর। দুটি করে উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ সিরাজ ও উমরান মালিক।