ইরানে চলমান সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে সরকারি আধাসামরিক সদস্যকে হত্যার অভিযোগে পাঁচজনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছে দেশটির আদালত।
মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) বিচার বিভাগের মুখপাত্র মাসুদ সেতায়েশি একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। তবে এ রায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন অধিকার কর্মীরা।
বিচার বিভাগ বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের জন্য তিন শিশুসহ আরও ১১ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে।
প্রসিকিউটররা জানান, আধা-সামরিক বাহিনীর সদস্য রুহুল্লাহ আজমিয়ানকে (২৭) নগ্ন করে হত্যা করা হয় ওই বিক্ষোভ থেকে।
গত সেপ্টেম্বরে ২২ বছরের কুর্দি নারী মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ এক পর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়।
ওই বিক্ষোভ থেকে “নৈতিকতা পুলিশের” কার্যক্রম বাতিল এবং বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে আন্দোলনকারীরা।
গত সেপ্টেম্বর থেকে চলা আন্দোলনে এখন পর্যন্ত ২০০ জন নিহত হয়েছেন বলে দেশটির সরকার স্বীকার করেছে। তবে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা বলেছে, হিজাববিরোধী আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সহিংসতায় ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।
ইরান সরকার ব্যাপকভাবে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ দমন করছে।
এর আগে রবিবার (৪ নভেম্বর) ইরানের নারী ও বিক্ষোভকারীদের ওপর নির্যাতন-সহিংসতার অভিযোগের জেরে “নৈতিকতা পুলিশের” কার্যক্রম স্থগিত করে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
দেশটিতে দুই মাসের বিক্ষোভ চলার পর এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজরি এই ঘোষণা দেন।
বিচার বিভাগ বলছে, গত ৩ নভেম্বর তেহরানের পশ্চিমে করাজে ছুরি, পাথর, কিলঘুসি ও লাথি মারতে মারতে সড়কে টেনে নিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
ইরানের শক্তিশালী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পসের সাথে যুক্ত রাষ্ট্র-অনুমোদিত স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী বাসিজের অন্তর্গত ছিলেন তিনি।