ইমামবাড়া। পশ্চিম বঙ্গের হুগলী জেলায় অবস্থান। শিয়াপন্থী মুসলিম সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান। ইমামবাড়া স্থাপত্যটি পুরনো (১৬৯৪)। পরে নতুন করে তৈরি হয়েছিল (১৮৬১)। বিখ্যাত দানবীর হাজি মহম্মদ মহসিনের স্মৃতিতে হয় পুনর্নির্মাণ। বিশাল গঠন ইমামবাড়ার। এর স্থপতি গণিতবিদ কেরামতুল্লা খান। (গণিতবিদ কেরামতুল্লা খান সম্পর্কে কেউ আলোকপাত করলে খুশী হই)।
স্থাপত্যটি উঁচু এক দোতলা বাড়ি। যে অঙ্গনে স্থাপিত আকারে সেটি ত্রিভুজ। বহু ঝর্ণা আর কৃত্রিম জলাশয় আছে এর মধ্যে।
ইমামবাড়ার প্রধান আকর্ষণ উঁচু দু’টি স্তম্ভ (৮৫ মিটার)। স্তম্ভের ভিতর দিয়ে সিঁড়ি ভেঙে ( ১৫২টি) উপরে ওঠতে হয়। সব চাইতে উঁচু তলায় আছে একটি ঘড়ি। ঘড়ির যন্ত্রপাতি, ঘণ্টা সব নিচের তলাগুলোতে। উপরের বিশাল ঘড়ি প্রতি ১৫ মিনিট অন্তর বেজে চলেছে। বেজেই চলেছে।
লন্ডনের বিগ বেনের পর পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ঘড়ি।
ঘড়িতে দম দেওয়ার যে চাবি, তার ওজন ২০ কিলোগ্রাম। দুজন মানুষ চাবি ঘুরিয়ে দম দেন ঘড়িতে। তিনটি ঘন্টা ঘড়ির। মাঝারি ও ছোট ঘন্টা দুটো বাজে পনের মিনিট অন্তর। আর বড় ঘন্টা বাজে এক ঘন্টা পর পর। বড় মিষ্টি শব্দ। ঘড়িটির নির্মাতা ‘মেসার্স ব্ল্যাক অ্যান্ড হ্যারি কোম্পানি’, বিগ বেন, লন্ডন।
আরও একটি ঘড়ি ইমামবাড়ার খিড়কির অংশে। গঙ্গা তীরে টিকে আছে। সূর্যঘড়ি। সূর্যের ছায়া দেখেই সময় হিসাব করা যায়। মূল ঘড়িতে পিতলের ফলক ছিল, এখন নেই (চুরি?)। এখন শুধুই পাথরের ফলক। তবে কি, আমি যখন দেখলাম তখন ঘড়িতে বারোটা পাঁচ। সূর্য ঘড়িতেও তাই। অতীতকে তুলে ধরলাম ওআইড অ্যাঙ্গেল লেন্সে।