ইরানে সোমবার থেকে তিন দিনের ধর্মঘট কর্মসূচি পালনে ঘোষণা দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। নৈতিকতা পুলিশের হেফাজতে কুর্দি নারী মাহশা আমিনি হত্যার ঘটনায় সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ জারি রাখতে এই কর্মসূচি পালন করবে তারা। ধর্মঘটের মধ্যেই ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি তেহরানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
খবরে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থী দিবস উপলক্ষে বুধবার তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে ইরানি প্রেসিডেন্টের। এই দিবসকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীরাও ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট পালনের আহ্বান জানিয়েছেন। তারা তেহরানের আজাদি স্কয়ার অভিমূখে মিছিলের ডাকও দিয়েছেন।
বিক্ষোভকারীরা সোমবার থেকে তিন দিনের এই কর্মসূচি শুরু হবে।
মাহশা আমিনির মৃত্যুর পর শুরু হওয়া চলমান এই বিক্ষোভে এর আগেও এমন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এসব কর্মসূচি পালনে আন্দোলন গতি পেয়েছে। ১৯৭৯ সালে ইসলামিক বিপ্লবের পর ইরানের অন্যতম বৃহত্তম বিক্ষোভের একটিতে পরিণত হয়েছে চলমান আন্দোলন।
অ্যাক্টিভিস্টদের সমর্থক এইচআরএএনএ বার্তা সংস্থা দাবি করেছে, শনিবার পর্যন্ত চলমান বিক্ষোভে অন্তত ৪৭০ জন প্রতিবাদকারী নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৬৪ জন শিশু। একই সময়ে গ্রেফতার করা হয়ে ১৮ হাজার ২১০ বিক্ষোভকারীকে এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন ৬১ জন।
ইরানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের স্টেট সিকিউরিটি কাউন্সিল শনিবার দাব করেছে, নিহতের সংখ্যা ২০০ জন।
১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছরের কুর্দি নারী মাহসা আমিনির মৃত্যুর পর ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ একপর্যায়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ওই বিক্ষোভ থেকে ‘নৈতিকতা পুলিশের’ কার্যক্রম বাতিল এবং বাধ্যতামূলক হিজাবের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে আন্দোলনকারীরা।
শনিবার ‘সাম্প্রতিক দাঙ্গার সময় হাইব্রিড যুদ্ধের রূপরেখা’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে কথা বলেন ইরানের প্রসিকিউটর জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মনতাজরি। এ সময় ইরানে নৈতিকতা পুলিশ কার্যক্রম শেষ হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।