বিশ্বকাপের সর্বশেষ তিন আসরে একটি অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল বিশ্বকাপজয়ী দলের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়াটা। কিন্তু কাতার বিশ্বকাপে এসে ফ্রান্সের হাত ধরে ভাঙল সেই রীতি। ডেনমার্ককে ২-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে শেষ ১৬-তে নাম লেখাল ফরাসিরা।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, পাল্টা আক্রমণ চললেও দুই দলই পসরা সাজিয়ে বসে গোল মিসের। বারবার সুযোগ সৃষ্টি করেও গোলের দেখা মিলছিল না কারোই। যে কারণে প্রথমার্ধে গোলশূন্য থাকতে হয় দুই দলকেই।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই মাঠ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় ফরাসিরা। আর দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মাথায় দেখা পায় সফলতার।
ম্যাচের ৬১তম মিনিটের মাথায় ডেডলক ভাঙেন কিলিয়ান এমবাপে। বাম দিক থেকে ওয়ান টু করতে করতে ডি বক্সের দিকে এগিয়ে যান হার্নান্দেজ। বক্সের কাছাকাছি এসে কিলিয়ান এমবাপের সঙ্গে শুরু হয় তার পাসের আদান-প্রদান।
আর সেখান থেকে ডি বক্সের ভেতর ফাঁকায় বল পেয়ে ডেনমার্কের জালে বল ঠুকে দলকে লিড এনে দেন এমবাপে।
তবে সময়ে ফিরতে বেশি সময় নেয়নি ডেনমার্ক। ৭ মিনিটের মাথায় এরিকসেনের কর্ণার কিক থেকে দুর্দান্ত এক হেডে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে সমতায় ফেরান আন্দ্রেস ক্রিস্টেনসেন।
৭২ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে যায় ডেনমার্ক। ডি বক্সের বাম প্রান্ত থেকে দুর্দান্ত এক মাইনাস থেকে পেনাল্টি অঞ্চলে থাকা লিন্ডস্ট্রোম দুর্দান্ত এক শট নেন ফ্রান্সের গোলমুখে। কিন্তু শক্ত হাতে সেই আক্রমণ রুখে দিয়ে বিপর্যয় এড়ান ফ্রেঞ্চ গোলরক্ষক লরিস।
৭৮তম মিনিটে গ্রিজম্যানের করা ব্যাক টু ব্যাক তিনটি কর্ণার থেকে এগিয়ে যাওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ পায় বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু তিন বারই সুযোগ হাতছাড়া হয় তাদের।
তিন মিনিট পরই ডান দিক থেকে আক্রমণে যায় ডেনমার্ক। কিন্তু গোলপোস্টের কাছাকাছি থেকে নেয়া সেই শট হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
তবে ৮৫ মিনিটের মাথায় ডানদিক থেকে গ্রিজম্যানের দুর্দান্ত এক ক্রস থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নিয়ে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে। আর তাতেই জয়টা অনেকটাই সুনিশ্চিত হয়ে যায় তাদের।
শেষদিকে আরও বেশকিছু সুযোগ পায় ফ্রান্স এগিয়ে যাওয়ার। কিন্তু ফিনিশিং আর ডেনমার্কের প্রবল ডিফেন্সে চিড় ধরাতে পারেননি এমবাপে-গ্রিজম্যানরা। আর তাতেই ২-১ গোলের জয় নিয়ে শেষ ষোল নিশ্চিত হয় ফ্রান্সের।