২০০২ সালে এশিয়ায় আয়োজিত প্রথম বিশ্বকাপে শেষবারের মতো সোনালি ট্রফি জিতেছিল ব্রাজিল। দুই দশক পর এশিয়ার মাটিতে আয়োজিত আরেকটি বিশ্বকাপে ২০ বছরের আক্ষেপ ঘোচাতে পারবে কি-না, তা সময়ই বলে দেবে। তবে সার্বিয়াকে ২-০ গোলে হারিয়ে হেক্সা জয়ের মিশনের শুরুটা ভালোই হয়েছে সেলেসাওদের।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ১টায় লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে সার্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল। যদিও জয়ের ব্যবধানটা মাত্র দুই গোলের, এই স্কোরলাইন সার্বিয়ানদের ওপর পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের দাপটের পুরো চিত্র বুঝাতে পারছে না। যদিও প্রথমার্ধে ব্রাজিলের আক্রমণভাগে সার্বিয়ার রক্ষণের কাছে মাথা কুঁটে মরেছিল।
ম্যাচের তৃতীয় মিনিটে রাফিনহা ডান প্রান্ত দিয়ে সার্বিয়ার ডি বক্সে ঢুকলেও তার বাড়ানো বল সার্বিয়ার রক্ষণভাগে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ৭ মিনিট পর নেইমার প্রতিপক্ষ ডি-বক্সে বল পেলেও শট নিতে ব্যর্থ হন। ম্যাচের ২০ মিনিটে নেইমারের শট সার্বিয়ান খেলোয়াড়ের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়।
ম্যাচে সার্বিয়া প্রথম আক্রমণে যায় ২৫ মিনিটে। তবে তাদের প্রতি আক্রমণ ব্যর্থ হয় ব্রাজিল গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের বিশ্বস্ত হাতে। ৩৫ এবং ৪০ মিনিটে ব্রাজিল আর দুবান গোলের সুবর্ণ সুযোগ পায় ব্রাজিল। তবে রাফিনহা আর ভিনিসিয়াস সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে গোলশূন্যভাবে প্রথমার্ধ শেষ হয়।
মধ্যবিরতির পর প্রথম মিনিটেই এগিয়ে যেতো পারতো ব্রাজিল। তবে সার্বিয়ান ডিফেন্সের ভুলের ফায়দা তুলে বল জালে জড়াতে পারেননি রাফিনহা। এরপর ব্রাজিল মুহুর্মুহু আক্রমণ করলেও সার্বিয়ার রক্ষণবুহ্য ভেদ করতে পারছিল না।
অবশেষে ম্যাচের ৬১ মিনিটে গিয়ে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। নেইমারের কাছ থেকে বল পেয়ে ভিনিসিয়াসের নেওয়া শট ঠেকিয়ে দেন সার্বিয়ার গোলরক্ষক। তবে ফিরতি বল ঠিকই জালে জড়িয়ে সেলেসাওদের এগিয়ে দেন রিচার্লিসন।
মিনিট দশেক পর আবারও রিচার্লিসন জাদুতে পরাস্ত হয় সার্বিয়ার রক্ষণভাগ। ভিনিসিয়াসের কাছ থেকে বল পেয়ে তা দুর্দান্তভাবে আয়ত্ত্বে নিয়ে দর্শনীয় একটি ভলি থেকে ব্রাজিলের লিড দ্বিগুণ করেন টটেনহামের এই স্ট্রাইকার। ম্যাচের বাকি অংশে লাতিন পরাশক্তিরা ব্যবধান বাড়ানোর চেষ্টা করলেও সফল হননি। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তিতের শিষ্যরা।