ইউক্রেনজুড়ে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিভিন্নস্থানে ব্ল্যাকআউট সৃষ্টিতে রাশিয়া মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। প্রচণ্ড শীতে রাশিয়া সন্ত্রাসী ফর্মুলায় লাখ লাখ মানুষকে ঘর ছাড়তে বাধ্য করেছে। বুধবার রাতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বুধবার ইউক্রেনের বিভিন্ন জায়গায় রাশিয়ার নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছেন। কমপক্ষে ৭০টি ক্রুইজ মিসাইল হামলা হয়েছে বলে দাবি দেশটির সামরিক বাহিনীর। হামলায় ইউরোপের বৃহত্তম জাপোরজ্জিয়ার পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে ডিজেলের মাধ্যমে সচল করা হয়।
জাপোরজ্জিয়া প্ল্যান্টে গোলাবর্ষণ নিয়ে বার বার সতর্ক করে আসছে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ)। সংস্থাটি বলছে, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। যদিও রাশিয়া-ইউক্রেন কোনও পক্ষই নিজেদের হামলার কথা স্বীকার করেনি।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ স্থাপনায় রাশিয়ার ক্রমাগত গোলাবর্ষণে বুধবার ব্ল্যাকআউটের সম্মুখীন হয়েছিল প্রতিবেশী মলদোভা। যদিও দেশটিতে সরাসরি হামলা হয়নি। শীত শুরু হতে না হতেই ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোয় হামলা বাড়িয়েছে মস্কো। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা বলছেন, রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অনেক বিদ্যুৎ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত, দেশের বেশিরভাগ গ্রিড মেরামতের প্রয়োজন।
বুধবার দিবাগত রাতের ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভের পরিস্থিতি খুবই জটিল। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেন, রাজধানীর ৮০ শতাংশ বাসিন্দার কাছে বিদ্যুৎ এবং পানি নেই।
রাশিয়ার এমন হামলাকে কাপুরুষ এবং অমানবিক বলছেন জেলেনস্কি। মিসাইল হামলার পর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ইউক্রেনকে সহায়তায় জাতিসংঘকে আরও ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানান। জাতিসংঘকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র রাশিয়ার কাছে জিম্মি হওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সূত্র: বিবিসি