তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের প্রদেশে ৫ দশমিক ৯ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে ইস্তাম্বুল ও আঙ্কারাতেও। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন এসব তথ্য।
তুরস্কের দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (এএফএডি) জানিয়েছে, স্থানীয় সময় বুধবার ভোর ৪ টা ৮ মিনিটে এ ভূ-কম্পন হয়। এটির কেন্দ্র ছিল উত্তর-পশ্চিমের ওই প্রদেশ থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে গোলিয়াক জেলায়।
এএফএডি আরও জানিয়েছে ১৮টি আফটারশকের খবর পাওয়া গেছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি কমাতে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন রেখেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, ইস্তাম্বুলের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পরপরই বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সলু বলেছেন, এখনও কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি।
এএফএডির প্রেসিডেন্ট ইউনুস সেজার জানিয়েছেন, দুর্ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
একই প্রদেশে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত হন ৭১০ জন। ১০ দিন আগে সেই ঘটনার ২৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে দেশব্যাপী ভূমিকম্পের মহড়া অনুষ্ঠিত হয়। এর মাঝেই আবারও ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলো দেশটিতে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়ার জাভা দ্বীপে ৫ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৬৮ জনে। আহত হয়েছেন এক হাজারের মতো মানুষ। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন ১৫১ জন। দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত একটি প্রত্যন্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
দুই দিন ধরে ধ্বংসস্তূপে চাপা পড়া লোকজনকে উদ্ধারে কাজ করছে দেশটির ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু।
ইন্দোনেশিয়ার দুর্যোগ প্রশমন সংস্থা (বিএনপিবি) জানায়, ২২ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবারের ভূমিকম্পে। ভূমিকম্পের কবলে পড়া ওই অঞ্চল থেকে ৫৮ হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থার (ইউএসজিএস) তথ্যমতে, সোমবার (২১ নভেম্বর) ভূ-কম্পনটির উৎপত্তিস্থল ছিল সিয়ানজুর এলাকা থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে এবং কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে।
সূত্র: টিআরটি ওয়ার্ল্ড