বাংলাদেশের বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারণে ১৭ অক্টোবর থেকে জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে চারটিতে পর্যটক যাতায়াত নিষিদ্ধ জারি করা হয়। এবার রুমা ও রোয়াংছড়ি ব্যতীত অন্য পাঁচটি উপজেলায় পর্যটক যাতায়াতে আর কোনো বাধা থাকবে না। তবে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) বান্দরবানের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ইয়াছমিন পারভীন তিবরিজী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোয়াংছড়ি ও রুমাতে সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের উপস্থিতির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেজন্য বান্দরবান সেনানিবাসের রিজিয়ন কর্তৃক আধিপত্য বিস্তারমূলক টহল কার্যক্রম পরিচালনা এবং গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে ওই দুই উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা ২০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
এর আগে ১৭ অক্টোবর রাত থেকে রুমা ও রোয়াংছড়িতে এবং ২৩ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থানচি ও আলীকদমে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এই চার উপজেলায় ৮ নভেম্বর পর্যন্ত ভ্রমণে পর্যটক পর ৯ নভেম্বর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত আলীকদমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। তবে রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে পর্যটক মেয়াদ বাড়ানো হয়।
১৩ নভেম্বর থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এই তিন উপজেলায় আবারও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। সর্বশেষ ১৭ নভেম্বর থানচিতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে ১৭ নভেম্বর থেকে আরও চার দিন রোয়াংছড়ি ও রুমাতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে কর্মরত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের বেঞ্চ সহকারী সুমন পাল। তিনি বলেন, “রোয়াংছড়ি ও রুমাকে পর্যটকদের ভ্রমণে নতুন করে আবারও চার দিনের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে থানচিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়া হয়েছে।”
প্রতি বছরের শীত মৌসুমে জেলার অন্তত ২৫টি পর্যটন স্পটে হাজার হাজার পর্যটকের আগমন ঘটে। তবে এবার নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে পর্যটক না আসায় কর্ম শূন্য হয়ে পড়েছে জেলার দুই শতাধিক হোটেল-মোটেল ও পাঁচ শতাধিক পর্যটক গাইড। এই নিষেধাজ্ঞা দ্রুত প্রত্যাহারের প্রত্যাশা করেন হোটেল মোটেল মালিক সমিতির নেতারা।