ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডের সীমান্তবর্তী এলাকায় যে ক্ষেপণাস্ত্রটি বিস্ফোরিত হয়েছে তা ইউক্রেনের সেনাবাহিনী ছুড়েছে। ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় দুজন পোলিশ নাগরিক নিহত হন।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন কর্মকর্তাদের প্রাথমিক তদন্তে এমন তথ্য উঠে এসেছে বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি)। এপি এই বিষয়ে তিন মার্কিন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে তারা বলেছেন, প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে বোঝা যাচ্ছে যে পোল্যান্ডে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি ইউক্রেন সেনাবাহিনী নিক্ষেপ করেছে।
মূলত রাশিয়ার ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আটকাতেই ইউক্রেন সেনারা পাল্টা এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছুড়েছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মধ্যে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) প্রথমবারে মতো পোল্যান্ডের একটি গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দুজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
ন্যাটো কর্মকর্তারা বলেছেন, বিস্ফোরণের খবর জোট খতিয়ে দেখছে। পোল্যান্ডের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে বিস্ফোরণের বিষয়ে পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদার সঙ্গে কথা বলেছেন ন্যাটোপ্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ।
তিনি বলেন, “নিহতদের প্রতি আমি সমবেদনা জানাচ্ছি। ন্যাটো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং মিত্রদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে পরামর্শ করছে। সব তথ্যের সত্যতা প্রতিষ্ঠিত হওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
এদিকে সকালে ওই বিস্ফোরণের পর এর দায় রাশিয়ার ওপর চাপিয়ে তীব্র নিন্দা জানান ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। রাতের নিয়মিত ভাষণে তিনি বলেন, “সন্ত্রাসীরা শুধু আমাদের সীমান্তেই সীমাবদ্ধ না।”
তাৎক্ষণিক বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, ইউক্রেন-পোলিশ সীমান্তের কাছে কোনো লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়নি।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেজ দুদা সাংবাদিকদের বলেন, “ক্ষেপণাস্ত্র কে বা কারা ছুড়েছে এখনও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ মুহূর্তে আমাদের কাছে কোনো চূড়ান্ত প্রমাণ নেই… এটি সম্ভবত রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছিল, এর তদন্ত চলছে।”
ক্ষেপণাস্ত্র হামলার খবরে নড়েচড়ে বসেছে সামরিক জোট ন্যাটো। জোটের এক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, এ ঘটনায় খতিয়ে দেখতেপোল্যান্ডের সঙ্গে গভীরভাবে সমন্বয় করছে ন্যাটো।