বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য পোল্যান্ডে রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরিত হওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনীকে উচ্চ সতর্কতায় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ সতর্কতা জারি করেছে পোলিশ সরকার।
পোলিশ সরকারের মুখপাত্র পিয়োতর মুলার এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বলে এক প্রতিবেদনে লিখেছে পোলিশ রেডিওর আইএআর নিউজ এজেন্সি।
পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকির আহ্বানে শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠকের পর মুলার মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলেন, আজ দক্ষিণ-পূর্ব পোল্যান্ডের হ্রুবিসজো কাউন্টিতে একটি বিস্ফোরণ ঘটেছে, যাতে পোল্যান্ডের দুই নাগরিক নিহত হয়েছেন। এখানে আসলে কী হয়েছে তা উদঘাটনের কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, তথ্যের বিকৃতি এড়াতে এ বিষয়ে একটি স্পষ্ট বিবৃতি দেবে সরকার।
মুলার ঘোষণা করেন উদ্ভূত পরিস্থিতি করণীয় নির্ধারণে কিছু সিদ্ধান্ত হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শান্ত থাকার আহ্বান পোলিশ প্রধানমন্ত্রীর
এদিকে এ এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টির পর সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন পোলিশ প্রধানমন্ত্রী মাতেউস মোরাউইকি। তিনি বলেছেন, ‘আমি এই মর্মান্তিক ঘটনায় সকল পোলিশকে শান্ত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের সতর্কতা ও সংযম বজায় রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেছেন, পোলিশ সশস্ত্র বাহিনীর নির্দিষ্ট ইউনিটকে যুদ্ধের সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তাছাড়া আকাশসীমায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হবে।
পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার ঘটনায় ইউক্রেনকে দোষারোপ করেছে রাশিয়া। অধিকৃত দোনেৎস্কে রাশিয়ার নিয়োগকৃত প্রধান ডেনিস পুসিলিন বলেছেন, ইচ্ছাকৃতভাবে পোল্যান্ডে রাশিয়ার তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ‘উত্তেজনা বৃদ্ধি’ করতে চাইছে ইউক্রেন এবং রাশিয়া-ইউক্রেন দ্বন্দ্বে ‘অন্য দেশগুলোকে জড়িত করার চেষ্টা চালাচ্ছে।’
তবে রাশিয়ার এ দাবিকে ‘মিথ্যা প্রোপাগান্ডা’ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। টুইটে তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া এখন একটি ষড়যন্ত্রমূলক তত্ত্ব ছড়াচ্ছে যে, পোল্যান্ডে যে ক্ষেপণাস্ত্রটি পড়েছে সেটি ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর (ছোঁড়া)। এ তথ্য সঠিক নয়। কারও রাশিয়ার প্রোপাগান্ডা বিশ্বাস করা এবং তাদের মিথ্যাকে প্রশয় দেওয়া উচিত না।