হেফাজত নেতা মামুনুল হকে নারায়ণগঞ্জের রিসোর্টে এক নারী সহ অবরুদ্ধ হন। সে সময়ে দায়িত্ব পালনরত সোনারগাঁও থানার তৎকালীন ওসি রফিকুল ইসলামকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা বিভাগের উপসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাসের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১৯ এপ্রিল, সোমবার জারী করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘মো. রফিকুল ইসলাম পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র, পুলিশ লাইন্স নারায়ণগঞ্জে সংযুক্ত (সাবেক অফিসার্স ইনচার্জ সোনারগাঁও থানা, নারায়ণগঞ্জ জেলা) কে তার চাকরি জীবনের ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ায় ‘চাকরি আইন ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ আইনে) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী, জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক অবসরজনিত সকল সুবিধা প্রাপ্য হবেন।’
উল্লেখ্য, গত ৩রা এপ্রিল, নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে একজন নারীসহ অবস্থান নেন হেফাজত নেতা মামুনুল হক। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়দের রোষানলে পড়েন তিনি এবং ঐ নাড়ীকে নিজের বিবাহিত স্ত্রী বলে দাবি করেন মামুনুল হক। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তাকে সেখান থেকে নিয়ে আসা হয়। এ সময় মামুনুলের সমর্থক এবং হেফাজতে ইসলামের নেতাকরমীরা ঐ রিসোর্টে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার ওসি রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।