ইউক্রেনের খেরসন শহর থেকে রুশ বাহিনী প্রত্যাহারের পর থেকেই ব্যাপক উচ্ছ্বসিত স্থানীয়রা। গত শুক্রবার অঞ্চলটির নিয়ন্ত্রণ নিতে সমর্থ হয় ইউক্রেনীয় সেনারা। শনিবার সেনারা শহরে প্রবেশের আগেই তাদের অভ্যর্থনা জানাতে রাস্তায় ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায় স্থানীয়দের। রবিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
শহরের মেয়র বলেছেন, রুশ দখলদারিত্বের সময় পানি, ওষুধ ও রুটির অভাবে সেখানে গুরুতর মানবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
খেরসনের কেন্দ্রস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরের একটি গ্রাম ক্লাপায়ার। সেখানে ৬৬ বছরের নাটালিয়া পোরখুনুক এবং ৬১ বছরের ভ্যালেন্টিনা বুহাইলোভাকে ইউক্রেনীয় সেনাদের বহরকে অভিবাদন জানাতে তাজা ফুল নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পরে বহরটি যাওয়ার সময় হাসিমুখে ফুল নাড়িয়ে সেনাদের অভ্যর্থনা জানান তারা। এক পর্যায়ে একজন ইউক্রেনীয় সেনা একটি ছোট ট্রাক থেকে লাফিয়ে তাদের জড়িয়ে ধরেন।
বুহাইলোভা বলেন, গত দুই দিনে তাদের বয়স যেন ২০ বছর কমে গেছে।
৯ নভেম্বর রুশ সেনাদের খেরসনের পশ্চিম তীর থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। সেপ্টেম্বরে যে চারটি ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে ঘোষণা করে খেরসন সেগুলোর একটি। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধে রাশিয়ার দখল করা একমাত্র প্রাদেশিক রাজধানী ও বৃহত্তম ভূখণ্ড হলো খেরসন। খেরসন প্রদেশের প্রাদেশিক রাজধানী হলো খেরসন শহর। ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরে এই শহরটির অবস্থান।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় শুক্রবার দাবি করেছে, ইউক্রেনে তাদের দখলকৃত খেরসন শহর থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার সম্পন্ন হয়েছে। খেরসন প্রদেশে ডিনিপ্রো নদীর পশ্চিম তীরের এই শহর থেকে রাশিয়ার সেনা প্রত্যাহারকে চলমান যুদ্ধে মস্কোর বৃহত্তম ব্যর্থতা হিসেবে মনে করা হচ্ছে।