গত রবিবার রাতে চাঁদপুরের কচুয়ায় তেতৈয়া গ্রামের ইউপি ভবন এ হামলা ও ভাঙচুর করে বলে জানা গেছে। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেফতারে ক্ষুব্ধ হয়ে তার সমর্থকরা চাঁদপুরের কচুয়ার ৬নং উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে হামলা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
প্রায় দেড় শতাধিক হেফাজত সমর্থক নেতাকর্মী তেতৈয়া গ্রামে অবস্থিত ইউপি ভবনে এ হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করে সোমবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। কচুয়া থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী গ্রামপুলিশ নারায়ণ চন্দ্র বলেন, ‘আমি ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের ভেতরে অবস্থান করছিলাম। হঠাৎ হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মীরা ইউপি ভবনের সামনে এবং চারপাশে ভাঙচুর চালায়।’
ইউপি সচিব মো. মফিজুর রহমান বলেন, ১৮ই এপ্রিল রাতে প্রায় দেড় থেকে দুই শ’ হেফাজত সমর্থিত নেতাকর্মী উজানী, দারচর ও খিড্ডা এলাকা থেকে একত্রিত হয়ে সরকারি ইউপি ভবনে রাষ্ট্রীয় মালামাল, দরজা-জানালা ও ভবন ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় সোমবার ১২ জনের নাম উল্লেখ ও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট এম. আখতার হোসাইন আওয়ামী দলীয় ফেস্টুন ও ইউপি ভবন ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। পাশাপাশি অপর আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
কচুয়া থানার ওসি বলেন, হেফাজত নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে যাওয়ার সময় ইউপি কার্যালয়ে হামলা চালায়। আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। তাৎক্ষণিক তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।