বাংলাদেশে সরকারি টাকায় সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করেছে দেশটির সরকার। তবে বিদেশের কোনো সরকার, সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে মাস্টার্স, পিএইচডি ও পেশাগত প্রশিক্ষণে যাওয়া যাবে।
বুধবার (৯ নভেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের উপসচিব তৌহিদুল ইসলামের সই করা এক পরিপত্রে এ স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়।
বৈশ্বিক সংকট এবং দেশে ডলার সংকটের কারণে সরকার বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের ওপর চাপ কমানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে সরকার।
এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর এক আদেশে সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণের শর্ত কিছুটা শিথিল করে সরকার। সীমিত আকারে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে কর্মকর্তারা বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিয়ে চলতি বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর আদেশ জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এর আগে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফর বন্ধের নির্দেশ দিয়ে গত ১২ মে পরিপত্র জারি করে অর্থ মন্ত্রণালয়।
বুধবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে সরকারের পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানিসমূহের সব পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সব ধরনের বিদেশ ভ্রমণ পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এছাড়া স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, পাবলিক সেক্টর করপোরেশন এবং রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়নেও সব বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ থাকবে।
তবে বিদেশের কোনো সরকার, সংস্থা বা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থায়নে মাস্টার্স, পিএইচডি ও পেশাগত প্রশিক্ষণে যাওয়া যাবে।
চলতি বছরের মে মাসে জারি করা নির্দেশনায় অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত সব সংস্থাসহ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের বিদেশ ভ্রমণ বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়।
সে সময়েও এসব সংস্থার নিজ খরচায় সব ধরনের বিদেশ সফর বাতিল করার নির্দেশ দেওয়া হয়।