বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সংস্কারের অভাবে সাধারন মানুষের চলাচল ব্যহত হচ্ছে। আগামী বর্ষা মৌসুম আসার আগে এসব রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে এলাকার সাধারন জনগণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ফয়লাহাট বেইলি সেতুর মোড় থেকে গোবিন্দপুর রাস্তা পর্যন্ত মাত্র এক কি.মি. রাস্তার পুরো রাস্তাই খানাখন্দকে ভরা। যানবাহন নিয়ে চলাচল করতে সাধারন মানুষ চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এখন এই রাস্তায় ৩-৪ ইঞ্চি ধুলার আবরন ঢেকে গেছে। যেকোন একটি যানবাহন চলে গেলে ধুলার রাজ্যে পরিনত হয়। বর্ষা হলে কাদা পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। বর্ষা মৌসুমে চলাচল করা যায় না। রাস্তাটি এডিবির টাকায় গত মৌসুমে ইটের সোলিং বসালেও তা অল্প দিনেই উঠে খানা খন্দকে পরিনত হয়। গোবিন্দপুর, হোগলডাঙ্গা, বাইনতলা, গিলাতলা, খানপুর, বাগেরহাট থেকে ফয়লা বাজারে যানবাহন নিয়ে প্রবেশ করতে হলে এই রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা ছাড়া বিকল্প কোন রাস্তা নেই।
ভাগা-কাদিরখোলা রাস্তার কাদিরখোলা মসজিদের সামনে থেকে শ্রীকলস অভিমুখি রাস্তার ইটের সোলিং উঠে এলোমেলো হয়ে গেছে। পুরো রাস্তা এখন খানাখন্দকে ভরা। লোকজন যানবাহন নিয়ে চলতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এলাকার মানুষ যেনতেন ভাবে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারলেও যানবাহন নিয়ে পড়েছে দুর্ভোগে। দিনের বেলায় চলাচল করতে পারলেও রাতে আলো ছাড়া চলাচল করা যায়না। সাধারন মানুষ বর্ষা মৌসুমের আগে এই রাস্তাটি সংস্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন।
রনশেন বাস স্ট্যান্ড মোড় থেকে ফয়লাহাট এক গেট পর্যন্ত মাত্র এক কি. মি. রাস্তার কার্পেটিং উঠে খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে কয়েকটি গ্রামের মানুষ চলাচল করে। দীর্ঘদিন ধরে এই রাস্তার কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বেরিয়ে গেছে। এই ইটের খোয়াও এখন আস্তে আস্তে উঠে ছোট বড় গর্তে পরিণত হয়েছে। যানবাহন নিয়ে লোকজন এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। রাস্তাটি এখনই সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ার দাবী করেছে সাধারন মানুষ।
গোবিন্দপুর- খানপুর ৪ কি.মি. রাস্তাটির অনেকাংশে কার্পেটিং উঠে ছোট বড় খানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। কোথাও কোথাও ধসে নীচু হয়ে গেছে। লোকজন যানবাহন নিয়ে এই রাস্তায় চলতে গিয়ে বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে। এই রাস্তা দিয়ে এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাগেরহাটে যাতায়াত করে। যানবাহন নিয়ে এই ৪ কি. মি. রাস্তায় মানুষের চলাচল করা দুষ্কর হয়ে পড়েছে। রনশেন, মানিকনগর, গৌরম্ভা রাস্তার রনশেন থেকে নবাবপুর ত্রানের সেতু পর্যন্ত রাস্তাটির ইটের সোলিং উঠে যাওয়ায় সাধারন মানুষ চলাচলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। মাত্র এক কি. মি এই রাস্তার ইটের সোলিং এর অধিকাংশই উঠে গেছে। প্রায় পুরো রস্তাই এখন খানা খন্দকে ভরা। দিনের বেলায় ও লোকজন যেনতেন ভাবে পায়ে হেঁটে চলাচল করতে পারলেও রাতের বেলা আলো ছাড়া চলা একেবারেই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। গোবিন্দপুর রাস্তা থেকে হোগলডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তার অনেক স্থানের ইটের সোলিং উঠে যাওয়ায় লোকজন চলাচলে বিড়ম্বানার শিকার হচ্ছে।
বর্ষা মৌসুমের আগেই ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।