বাংলার মুজিব
আয় ছেলেরা শোনরে সবে
বঙ্গবীরের গল্প,
অসীম সাহস ছিল যে তাঁর
বয়স যখন অল্প।
টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন
নামটি হলো খোকা,
অন্যায় দেখলে লড়াই করতেন
শিখেন নাই যে ঝোঁকা।
দেশকে স্বাধীন করতে তিনি
রেখেছেন অবদান,
এই দেশেরই মানুষের যে
অধিকার করে দান।
জনগণের তরে কাঁদতো
শুধুই তাঁরই প্রাণ,
বজ্রকণ্ঠের ভাষণ ছিল
পাক সেনাদেরই বাণ।
বাঙালি জাতি তোমার স্মৃতি
হতে দেবে না ম্লান।
মুজিব তুমি আমার বাংলার
গল্প, কবিতা, গান।
কাল্পনিক স্বপ্ন
ইচ্ছে করে রকেট যানে
আকাশ দেবো পাড়ি
স্যাটেলাইট ক্যামেরা দিয়ে
দেখবো মজা ভারি।
চাঁদ সূর্য গ্রহে বেড়াবো
উল্কা বেগে ঘুরে
পৃথিবী থেকে মানুষগুলো
মরবে জ্বলে পুড়ে।
স্বপ্ন দেখি মঙ্গলেতে
বানাবো এক বাড়ি
মহাশূন্যে ভেসে বেড়াতে
কিনবো নব গাড়ি।
ধরণী জুড়ে সব আমাকে
অবাক হবে দেখে
আমি তখন মনের সুখে
হাসবো খুশি মেখে।
স্বার্থপর দুনিয়া ছেড়ে
চাঁদে গাইবো গান
স্বাধীন ভাবে উড়বো চষে
জুড়িয়ে যাবে প্রাণ।
সত্য মিথ্যা
মিথ্যা কথার কুট কৌশলে
আজ পৃথিবী ধ্বংস,
মিথ্যা জালের ফাঁদে পড়ে
সত্যের হাল নৃশংস।
সত্য মিথ্যার দ্বন্দ্ব যুদ্ধে
তাণ্ডব চলে নিত্য,
বাস্তব চিত্র ঘায়েল হয়ে
মিথ্যার হয় যে ভৃত্য।
চাপা মারে জয়ী হতে
দেখায় অলীক যুক্তি,
প্রতিপত্তি বলের জোরে
সত্য পায় না মুক্তি।
রঙ মাখিয়ে কারুকার্যে
করে কতো ফন্দি,
সত্যের ঘাড়ে মিথ্যা চেপে
জগৎ হলো বন্দী।
সত্য হলো বিষের মতো
ধূর্ত হলো দামি,
ভগ্ন আশায় দেশ বিদেশে
সত্য খুঁজি আমি।
সত্যের আভায় কিরণ দিয়ে
হবে একদিন প্রভাত,
ভ্রষ্ট পথের নোংরা স্তূপ
হবে যে ধূলিসাৎ।
আয়রে নবীন আয়রে প্রবীণ
সত্যের সন্ধান করি,
সত্য শিক্ষার মালা গেঁথে
নব ধরণী গড়ি।
নৌ ভ্রমণে চলো
কোথায় তোমরা বন্ধু বান্ধব
একত্র হই সবে,
বনভোজনে চলো যাবো
দারুণ মজা হবে।
মেঘনার বুকে চর জেগেছে
খুব মনোহর চিত্র,
পাখি দেখে মন জুড়াবে
চলো সকল মিত্র।
নদীর গর্ভে সোনালী রোদ
ঝিকিমিকি হাসে,
ছোট ছোট ডিঙি নৌকা
জলের উপর ভাসে।
নৌ ভ্রমণে গল্প,আড্ডা
গাইবো পল্লী গীতি,
ফুর্তি করবো সারাটাদিন
ছড়িয়ে বেশ প্রীতি।
ইলিশ ভাজা তাজা তাজা
খাবো মজা করে,
মন মাঝারে এমন স্মৃতি
রাখবো ছবি ধরে।
প্রভাত বেলা
পুব আকাশে রাঙা সূর্য
পাখি উঠে ডেকে,
ভোর হয়েছে খুকী এবার
ওঠো নিন্দ্রা থেকে।
শুরু করো দিনটা তোমার
প্রার্থনা পাঠ দিয়ে,
সারাবেলা ভালো কাটুক
হাসি খুশি নিয়ে।
দুয়ার খুলে বাহির পানে
দেখো কেমন লাগে,
ফুলে ফুলে ভরে গেছে
বাড়ির চত্বর বাগে।
ফুল পাখিরা ডাকছে তোমায়
মিষ্টি গানের সুরে,
কৃষক কাজে নামলো মাঠে
চেয়ে দেখো দূরে।
প্রকৃতির রূপ দেখে তুমি
অনেক কিছু শিখবে,
প্রভাত বেলা ভ্রমণ করে
গল্প একটা লিখবে।
উদারতার প্রতীক শরৎ
শরৎ মানেই শুভ্র মেঘে
স্নিগ্ধ গোধূলি বেলা,
মেঘের সাথে প্রকৃতি যেন
করছে লুকোচুরি খেলা।
শরৎ-ঋতুতে গগনে উড়ে
হরেক রকম পাখি,
দিগন্ত বিস্তৃত রংধনু দেখে
জুড়ায় দুটি আঁখি।
নদীর ধারে মৃদু হাওয়ায়
দোলে সাদা কাশবন,
শিউলি বকুল ফুলের ঘ্রাণে
ভরে উঠে তনু মন।
সাদা আকাশ সাদা কাশবন
সাদা শিউলি বেলি,
সাদা মন সাদা জীবন
চলো গড়ে ফেলি।
শান্ত নির্মল নিসর্গ শোভা
নিষ্পাপ শিশুর প্রতীক,
স্বচ্ছ সুরভি ছড়ানো আবেশে
উদারতায় ভরা চতুর্দিক।
শরৎ রানির রূপটি দেখে
এসো গাইবো গান
সাদা মনের হাসি ছড়িয়ে
রাঙিয়ে দেবো প্রাণ।