নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানের মধ্যকার ম্যাচটি অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনালে রূপ নিয়েছিল। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে বাংলাদেশ সংগ্রহ দাঁড়ায় ১২৭ রান। তবে আলোচনার কেন্দ্রে টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের বিতর্কিত আউট। এমনকি সাকিব নিজেও এভাবে আউট হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (৬ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল বাংলাদেশ। ইনিংসের একাদশ ওভারে দলীয় ৭৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট পতনের পর ব্যাট হাতে নামেন সাকিব। পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাদাব খানের মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন সাকিব।
শাদাবের ছোঁড়া বলটি সাকিব পায়ের পাতায় লাগলে এলবিডব্লিউর আবেদন করেন পাকিস্তানের অলরাউন্ডার। কিছুটা সময় নিয়ে তর্জনি আঙুল তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকান আম্পায়ার অ্যাড্রিয়ান হোল্ডস্টক। রিভিউ নিতে দেরি করেননি বাংলাদেশি অধিনায়ক। কিন্তু তাতেও মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়নি। সাকিবের হতাশাটা এখানেই।
রিভিউতে আল্ট্রা এজ প্রযুক্তিতে বল সাকিবের ব্যাট পেরিয়ে যাওয়ার আগে স্পাইক দেখা যায়। তবে ব্যাট মাটিতে লাগার কারণে স্পাইক হয়েছে কি-না তা নিয়ে জিম্বাবুয়ের টিভি আম্পায়ার ল্যাংটন রুজেরে নিশ্চিত হতে পারেননি। রিপ্লেতে একটা কোণ থেকে অবশ্য ব্যাট ও মাটির মাঝের সামান্য ফাঁক দেখা যাচ্ছিল। অর্থাৎ ব্যাটে-বলে সংযোগের কারণেই স্পাইক হয়েছিল।
রিভিউতে মাঠের আম্পায়ারের দেওয়া কোনো সিদ্ধান্তে পরিবর্তন আনতে হলে সেটির বিপক্ষে শতভাগ নিশ্চয়তার প্রমাণ দরকার টিভি আম্পায়ারের। ব্যাট ও পিচের মধ্যে ব্যবধান থাকায় চাইলেই এই সিদ্ধান্ত বদলাতে পারতেন রুজেরে। কিন্তু তিনি বেনেফিট অব ডাউটের হিসেবে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বলবৎ রাখেন। ফলে বিতর্কিত সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে শূন্য রানে ফিরতে হয় ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে।
এভাবে আউট হওয়ার পর সাকিবের হতাশাও গোপন থাকেনি। রিভিউ নিয়েও বিতর্কিত সিদ্ধান্তে এলবিডব্লিউ থেকে বাঁচতে না পারায় দুই হাত প্রসারিত করে বিস্ময় প্রকাশ করেন সাকিব। শুধু তাই না, ক্রিজে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পর মাঠের আম্পায়ারদের কাছেও নিজের আউট নিয়ে প্রশ্ন করেন তিনি। তাদের কাছ থেকে ব্যাখ্যা পেয়ে সাকিব শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়েন।