নাটোরে ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোরো মৌসুমে ধান কাটতে আসা শ্রমিকেরা চাঁদা ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে বলে জানা গেছে।
নাটোরে শুরু হয়েছে বোরো ধান কাটার মৌসুম। এসব ধান কাটতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার কৃষি শ্রমিক আসেন নাটোরের হালতি বিল ও চলন বিল এলাকায়।
চলতি বছরে এসময় সারা দেশে কঠোর লকডাউন থাকায় এসকল কৃষি শ্রমিক আসতে চরম ভোগান্তিতে পরছে। তার উপর ঝলমলিয়া হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানি ও চাঁদাবাজীর অভিযোগ তুলেছেন এসকল কৃষি শ্রমিক।
সরোজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়ার ভেরামারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল মারুফ স্বাক্ষরিত প্রত্যায়ন পত্র নিয়ে ৩৩ জন শ্রমিক চলন বিলে প্রবেশ করতে গেলে নাটোরের ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ির সামনে আটকে দেওযা হয় তাদের পরিবহনটি।
শ্রমিকরা জানান,চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার প্রত্যয়ন পত্র মানছেন না পুলিশ। তারা টাকা দাবি করছে। টাকা না দিলে মামলা দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে জানান কৃষি শ্রমিকরা।
ঝলমলিয়া হাইওয়ে ফাঁড়ি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজওয়ান চাঁদা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, উপড়ের নির্দেশে এ কার্যক্রম চালাচ্ছে তারা।
এবিষয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহ রিয়াজের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, নাটোরের বিভিন্ন এলাকার বিলে এখন ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এসকল কৃষি শ্রমিক যাতে ধান কাটতে যেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।