নজিরবিহীন খরায় কেনিয়ায় গত ফেব্রুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ২০৫টি হাতিসহ বহু বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দেশটির পর্যটন মন্ত্রী পেনিনা মালোনজা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত ৪০ বছরের মধ্যে পূর্ব আফ্রিকার বেশিরভাগ অঞ্চল মারাত্মক খরার সম্মুখীন হয়েছে।
সম্প্রতি কিছু কিছু বৃষ্টিপাত শুরু হলেও কেনিয়ার আবহাওয়া বিভাগ আগামী কয়েক মাস দেশের বেশিরভাগ অংশে কম বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিচ্ছে। এ কারণে বন্যপ্রাণীর ওপর চলমান হুমকি দ্রুত শেষ হচ্ছে না বলে শঙ্কা দেশটির।
পর্যটন, বন্যপ্রাণী ও ঐতিহ্য বিষয়ক মন্ত্রিপরিষদ সচিব মালোঞ্জা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খরায় খাদ্য সম্পদের ক্ষয় ও সেইসাথে পানির ঘাটতির কারণে এটি বন্যপ্রাণীদের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি বলেন, খরায় ১৪টি প্রজাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
মৃত হাতি ছাড়াও, ৫১২টি ওয়াইল্ডবিস্ট, ৩৮১টি সাধারণ জেব্রা, ১২টি জিরাফ এবং ৫১টি মহিষও একই সময়ের মধ্যে খরার শিকার হয়েছে। দেশটির পর্যটক আকর্ষণের কিছু জাতীয় উদ্যানেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
তিনি জানান, খরায় বিরল ও বিপন্ন ৪৯টি গ্রেভির জেব্রার মৃত্যু হয়েছে।
সংরক্ষণ গোষ্ঠী গ্রেভিস জেব্রা ট্রাস্ট সেপ্টেম্বরে জানায়, খরার কারণে মাত্র তিন মাসের মধ্যে এই প্রজাতির ২% অর্থাৎ ৪০টি গ্রেভি মারা গেছে।
শুক্রবার প্রকাশিত পরিসংখ্যানে অনেক প্রাণীর তথ্যই উঠে আসেনি বলেও এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মাংসাশীরা কিছু মৃতদেহ খেয়ে ফেলতে পারে। ফলে মৃত্যু আরও বেশি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলন কপ২৭ শুরু হওয়ার কয়েক দিন আগে এই খবর জানা গেল।
কেনিয়ায় অর্থনৈতিক উৎপাদনের প্রায় ১০% অবদান পর্যটন খাতের। এই বিভাগ ২ লাখ মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গেও সম্পর্কিত।
খরায় কেনিয়ার উত্তর ও দক্ষিণের অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এসব অঞ্চল বেশিরভাগ হাতির আবাসস্থল।