ফিলিপাইনে গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭২-এ দাঁড়িয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঝড়ের পর বন্যা ও ভূমিধসেই বেশি প্রাণহানি হয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঝড় ‘ন্যালগের’ আঘাতে ফিলিপাইনের দক্ষিণের প্রদেশ মাগুইন্দানাও সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আলজাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এ পর্যন্ত ৭২ জনের মৃত্যুর তথ্য রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রবার এ ঝড় আঘাত হানে। এতে ঘণ্টায় ৯৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়। এর প্রভাবে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে বন্যা ও ভূমিধস হয়। আজ শনিবার ক্যাটান্ডুয়ানস প্রদেশে ভয়াবহ ভূমিধস হয়েছে।
মধ্য ফিলিপাইনের প্রদেশ সমরেও বড় ধরনের ভূমিধসের শঙ্কা রয়েছে। এ শঙ্কায় প্রদেশটির ঝুঁকিপূর্ণ অংশ থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে দক্ষিণ ফিলিপাইনের সুলতান কুদরত প্রদেশেও ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে।
যেসব প্রদেশের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো দেশটির দক্ষিণের মিন্দানাওয়ের বাংসামোরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। অঞ্চলটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেন, ‘যথেষ্ট প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আশঙ্কার চেয়ে অনেক বড় ধরনের বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। মাগুইন্দানাও প্রদেশের দাতু ওডিন শহরের একটি এলাকায় এখনও ৮০ জন নিখোঁজ রয়েছেন।’
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন অত্যন্ত দুর্যোগপূর্ণ দেশ। বছরে গড়ে ২০টি টাইফুন দেশটিতে আঘাত হানে। সম্প্রতি তা আরও বেড়েছে।