রাশিয়ার ওপর দোষ চাপাতে ইউক্রেন নিজের ভূখণ্ডে ডার্টি বোমা ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে বলে দাবি করেছে মস্কো। বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে আলোচনা করার ঘোষণাও দিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
যদিও ইউক্রেন বলছে, এ দাবির কোনো প্রমাণ নেই। আসলে রাশিয়া নিজেই এ ধরনের হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে। জেলেনেস্কি প্রশাসনের এ দাবির সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে পশ্চিমা মিত্ররাও।
‘‘ডার্টি বোমা” হলো ‘‘রেডিয়োলজিক্যাল ডিসপার্সাল ডিভাইস” (আরডিডি)। এগুলো আসলে সাধারণ বোমা। কিন্তু এর বিস্ফোরকের সঙ্গে মেশানো থাকে তেজস্ক্রিয় পদার্থ। ফলে মানুষের দেহে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। এ বোমা ব্যবহারে সামগ্রিকভাবে দূষিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
রাশিয়ার জাতিসংঘের রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া নিরাপত্তা পরিষদ ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে এ বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু যুক্তরাজ্য প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেসের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ইউক্রেন ‘‘ডার্টি বোমা” ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি জানান, ‘‘ডার্টি বোমা” ব্যবহারে কিয়েভের সম্ভাব্য উসকানি সম্পর্কে রাশিয়া উদ্বিগ্ন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং ব্রিটেন রবিবার এক যৌথ বিবৃতিতে রুশ দাবিকে প্রত্যাখান করে বলেছেন, ‘‘এই বোমা ব্যবহারে মস্কোর নিজেরই পরিকল্পনা ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘বিশ্ব এই অভিযোগকে উত্তেজনার অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করার যেকোনো প্রচেষ্টার মাধ্যমে দেখবে।”
নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের আগে একটি টুইট বার্তায় ব্রিটেনের জাতিসংঘ মিশন তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছে।