রাশিয়ার দখলকৃত ইউক্রেনের খেরসন অঞ্চল থেকে নাগরিকদের অবিলম্বে সরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। শহরটি পুনরুদ্ধারে ইউক্রেনীয় সেনারা জোরালো হামলা চালাতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২২ অক্টোবর) রুশ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, সামনে আরও উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়তে পারে খেরসনে। ইউক্রেনীয় বাহিনী খেরসনের শহরসহ অঞ্চলটিতে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছে।
এ অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের রুশ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের আরও ভেতরের দিকে চলে যেতে দিনিপ্রো নদী দিয়ে পারাপারে নৌকা ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ।
খেরসন পুনরুদ্ধারে গত মাস থেকে রুশ সামরিক বাহিনীর স্থপনায় পাল্টা হামলা থেকে শুরু করেছে কিয়েভ। ধীরে ধীরে অঞ্চলটির ভেতরে প্রবেশ করছে ইউক্রেনীয় সেনারা। ইতোমধ্যে বেশ কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে বলে দাবি ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর।
এদিকে খেরসন থেকে ৬০ হাজার মানুষকে পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল ক্রেমলিন সমর্থিত নেতা ভ্লাদিমির সালদো।ইউক্রেনে প্রায় আট মাসব্যাপী যুদ্ধের প্রায় শুরু থেকেই খেরসন রাশিয়ার দখলে। এই শহরটি গতমাসে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে চারটি শহর রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করেন তার একটি। বৃহস্পতিবার যা রুশ সামরিক আইনের অধীনে আনা হয়।
শুক্রবার ইউক্রেনীয় বাহিনী প্রদেশ জুড়ে রুশদের অবস্থান লক্ষ্য করে বোমাবর্ষণ করেছে। নিপার নদীজুড়ে ক্রেমলিনপন্থী বাহিনীর পুনঃসরবরাহ সড়কগুলো লক্ষ্য করে এবং শহরটি পুনরুদ্ধার করার জন্য চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টির প্রস্তুতি হিসেবেই এই হামলা করা হয়।
আগস্টের শেষের দিকে পাল্টা আক্রমণ শুরু করার পর থেকে ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী এই অঞ্চলের উত্তরে বিস্তৃত এলাকা পুনরুদ্ধার করেছে। শনিবার নতুন সাফল্যের কথা জানিয়ে বলা হয়, রুশ সৈন্যরা বেরিসলাভ জেলার চারিভনে ও চকলোভ গ্রাম থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে।
খেরসন শহরকে দখলে নেওয়ার বিষয়টি রুশ কর্মকর্তাদের জানানো হয়। শিল্প ও বন্দরের কারণে শহরটি উভয়পক্ষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে। হাজার হাজার বাসিন্দাদের যখন সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল তখন অঞ্চলটি যেন এক দুর্গে পরিণত হয়।