বাংলাদেশে গণধোলাইয়ের ভয়ে ‘৯৯৯’ এ কল করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে এক চোর। বুধবার (১৯ অক্টোবর) ভোরে বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের এআরখান বাজারে চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা ঘটেছে।
আত্মসমর্পণকারী চোর ইয়াছিন খানকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে- বলে জানিয়েছেন বরিশাল মহানগর পুলিশের বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান।
ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, জাতীয় সহায়তা কেন্দ্র থেকে ফোন করে ভোরে থানায় জানানো হয় যে, কোনো এক ব্যক্তি বিপদে পড়েছেন, তাকে উদ্ধার করতে হবে।
তাৎক্ষনিক পুলিশের একটি টিম পাঠানো হয় ঘটনাস্থল এআর খান বাজারে। তবে সেখানে গিয়ে সহযোগিতা চাওয়া ব্যক্তিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। আশেপাশের লোকজনের কাছে জিজ্ঞেস করেও কোনো মিলছিলো না সন্ধান। এ সময় ইয়াসিনকে ফোন দেয়া হলে তিনি একটি দোকানের ভেতর থেকে সাড়া দেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উদ্ধারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ইয়াসিন জানান যে, তার নাম ইয়াছিন খান; তিনি পেশায় চোর। বুধবার শেষ রাতের দিকে চুরি করতে এরআর খান বাজারে অবস্থিত ঝন্টু মিয়ার দোকানে প্রবেশ করেন তিনি। মালামাল ব্যাগ ভর্তি করতে করতেই দিনের আলো ফুটে ওঠে। বাজারে লোকজনের আনাগোনা শুরু হয়। ভোর হয়ে যাওয়ায় ভয় পেয়ে যান ইয়াছিন। দোকান মালিক দোকান খুলে তাকে দেখতে পেলে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিতে পারে, এমন আশঙ্কা ছিলো তার। তাই গণধোলাই থেকে বাঁচতে জরুরি সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে সহায়তা চান ইয়াছিন।
ওসি জানান, এ ঘটনায় দোকান মালিক কোনো অভিযোগ দেননি। তবে ইয়াছিনের বিরুদ্ধে আরও একটি চুরির মামলা রয়েছে বন্দর থানায়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, দোকান মালিক ঝন্টু মিয়া জানিয়েছেন, তার দোকানের কোনো মালামাল খোয়া যায়নি। তবে চোর বেশ কিছু দামি কিছু মালামাল ব্যাগ ভর্তি করেছিল।