উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে বারের মধ্যে হামলা চালিয়ে ১২ জনকে হত্যা করেছে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা। নিহতদের মধ্যে ছয়জনই নারী। স্থানীয় সময় শনিবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় মধ্য মেক্সিকান শহর ইরাপুয়াতোর একটি বারে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে রোববার (১৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। এ নিয়ে এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে গুয়ানাজুয়াতো প্রদেশে দ্বিতীয়বার এই ধরনের গোলাগুলি ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরাপুয়াতোর দক্ষিণে অবস্থিত ওই বারে হওয়া হামলায় আরও তিনজন আহত হয়েছেন বলে স্থানীয় সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে। এতে আরও বলা হয়েছে, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা হামলাকারীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
অবশ্য এই হামলা ও ১২ নারী-পুরুষকে হত্যার পেছনের উদ্দেশ্য তাৎক্ষণিকভাবে পরিষ্কার হয়নি। হামলার পরপরই প্রাথমিক ভাবে মৃতের সংখ্যা ১১ বলে জানানো হয়েছিল। পরে তা ১২ বলে জানানো হয়।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে গুয়ানাজুয়াতো প্রদেশের একটি পুল হলে সশস্ত্র হামলাকারীরা ১০ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল।
উল্লেখ্য, সহিংস অপরাধ ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনা মেক্সিকোতে বেড়েই চলেছে। এর পাশাপাশি উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে প্রায়ই প্রতিদ্বন্দ্বী মাদক পাচারকারী গ্রুপগুলোর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। অনেক সময় ক্ষমতা ও স্বার্থ টিকিয়ে রাখতে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র দলগুলোও একে অন্যের সঙ্গে লড়াইয়ে জড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া সান্তা রোসা দে লিমা এবং জালিস্কো নিউ জেনারেশন নামে দু’টি গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে গুয়ানাজুয়াতো মেক্সিকোর অন্যতম সহিংস প্রদেশে পরিণত হয়েছে। এই গ্রুপ দু’টি মাদক ও চোরাই জ্বালানি পাচার নিয়ন্ত্রণের জন্য একে অপরের বিরুদ্ধে লড়াই করে থাকে।
মাদক চোরাকারবারের জন্য মেক্সিকো কুখ্যাত। ২০০৬ সালে সরকার মাদক কারবারিদের দমনে কেন্দ্রীয় সেনাদের নামানোর পর মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতায় দেশজুড়ে তিন লাখ ৪০ হাজারেরও বেশি প্রাণহানি হয়েছে।
রয়টার্স বলছে, মেক্সিকোতে গ্যাং সহিংসতার মাত্রা কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০১৮ সালের শেষের দিকে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর। তবে উত্তর আমেরিকার এই দেশটিতে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণে তিনি কার্যত লড়াই করছেন।