তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে কৃষ্ণসাগর লাগোয়া বার্তিন প্রদেশের একটি কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে। খনিতে শুক্রবারের বিস্ফোরণে নিখোঁজ একজন শ্রমিকের সন্ধানে উদ্ধার অভিযান অব্যাহত আছে বলে শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, বার্তিন প্রদেশের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণের সময় সেখানে ১১০ জন শ্রমিক কর্মরত ছিলেন। বিস্ফোরণের পরপরই উদ্ধারকারীরা ৫৮ শ্রমিককে উদ্ধার করেছেন। একজন খনি শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। তাকে খুঁজে পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমান সোয়লু বলেছেন, ‘খনিতে এখনও আগুন জ্বলছে। খনি শ্রমিক এবং তাদের দলের অন্যান্যরা সহকর্মীদের সেখানে ছেড়ে না আসার ব্যাপারে মহৎ ত্যাগ স্বীকার করেছিল।’
পরবর্তীতে দেশটির জ্বালানিমন্ত্রী ফাতিহ দনমেজ বলেছেন, আমাসরা মুয়েসেস মুদুরলুগু কয়লাখনির অন্তত ৩৫০ মিটার গভীরে বিস্ফোরণ ঘটেছে। তবে খনির আগুন অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও এখনও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু স্থানে আগুন জ্বলছে। খনি শীতলকরণের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
সুলেইমান সোয়লু বলেছেন, বিস্ফোরণে আহত একজন খনি শ্রমিককে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য ১০ শ্রমিক এখনও বার্তিন এবং ইস্তাম্বুল শহরে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, খনিতে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনার কারণ জানতে তুরস্কের কৌঁসুলিরা তদন্ত শুরু করেছেন। তবে প্রাথমিকভাবে কয়লাখনির মিথেন গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তুরস্কে এখন পর্যন্ত ভয়াবহ কয়লাখনি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল ২০১৪ সালে। ওই বছর ইস্তাম্বুল থেকে সাড়ে ৩০০ কিলোমিটার দূরে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সোমায় কয়লাখনিতে বিস্ফোরণে অন্তত ৩০১ খনি শ্রমিকের প্রাণহানি ঘটে।
সূত্র: রয়টার্স।