স্ত্রী ইসরাত জাহানের দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বুধবার (১২ অক্টোবর) ঢাকার ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আল-আমিন অনুপস্থিত ছিলেন। এ কারণে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেওয়া হয়।
শুনানিতে আল-আমিনের অনুপস্থিতির কারণ হিসেবে তার আইনজীবী আবদুর রহমান জানান, আল-আমিন হোসেন গত ১০ অক্টোবর খুলনায় শুরু হওয়া জাতীয় ক্রিকেট লিগের চার দিনের ম্যাচে খেলছেন।
এর আগে, গত ৬ অক্টোবর মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়াশোনার খরচের দাবিতে স্ত্রী ইসরাতের করা মামলায় আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন পান আল-আমিন হোসেন। আদালতে জমা দেওয়া এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি দাবি করেন, গত ২৫ আগস্ট তিনি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন।
৭ সেপ্টেম্বর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালতে আল আমিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তার স্ত্রী ইসরাত। বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে ২৭ সেপ্টেম্বর আল-আমিনকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিয়ে করেন। তাদের দুটি ছেলেসন্তান রয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের ভরণপোষণ দেন না এবং খোঁজও না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন, যোগাযোগও করেন না।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে মারধর করেন। তার সঙ্গে আর সংসার করবের না বলেও জানান আল-আমিন। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
ইসরাত জীবনধারণের জন্য প্রতি মাসে ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরণপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়া বাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করেন।
এছাড়া, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা একটি মামলারও আসামি আল-আমিন।