সক্রেটিসের শেষ রাত্রি
বিষের পেয়ালা আজ অমৃত বলে পান করি
প্রেমিকের রোগা হাতে ছুঁই না তোমাকে
কে দেবে শুশ্রূষা বলো—
আমাদের সম্পর্কের সব লাবণ্য ঝরে গেলে?
চারিদিকে ভেজাগন্ধ পোশাকে-আশাকে
রোদ্দুরে মাছির মতো উড়ে উড়ে আসি
কী উৎসবে বেজে ওঠে দিন?
রাতগুলি স্বপ্নহীন—কে ভাবে কাকে!
দূরে কোন্ আলেয়ার আলো
জ্বলে উঠে নিভে যায়—
শেয়ালের মতো চোখ জ্বলে
আগুনের হাতে-হাতে উড়ে আসে ছাই।
নিশিযাপন
পরিচয় আড়াল করে রাখি
তবু টের পাই
ধার্মিকেরা সংবিধান লেখে;
ধার্মিক কাদের বলে?
কোনোদিন জানা হল নাকো—
সভ্যতা কেটে যায় রক্তপাত দেখে
রাত ঘুমিয়ে পড়লে একা
হৃৎপিণ্ড বেরিয়ে আসে—
ডুগডুগি
কে বাজায় আমাকে রোজ? কে বাজায়?
মেরুদন্ড সোজা করার আগেই
আবার মেরুদন্ড বেঁকে যায়—
বেজে বেজে এখন নিজেকে
নিজেরই কৌতুক মনে হয়!
দাগ
সব দাগ টুকে রাখি
সবাই এগিয়ে এসেছে আজ
আমি বধ হব তাদের হাতেই
এইবেলা বনের হাওয়ায়
কিছুক্ষণ বেঁচে নিতে চাই
দেখি কলকাকলিতে প্রান্তর ভেসে যায়।
গর্ত
আকাশের সীমানা ঘিরে উৎসব মেজাজ
ব্যস্ত বিকল্প মানুষ—
গর্ত থেকে উঠে দাঁড়াই
তবুও অন্ধকারে গর্তই পুনঃ পুনঃ টানে।
সমর্পণ
ঘোড়ার উপর ওঠো তুমি
ঘোড়া ছোটাও নারী
আজ থেকে তোমার হাতে
দিলাম তরবারি।