রাশিয়ার সঙ্গে ক্রিমিয়াকে সংযোগকারী ইউরোপের দীর্ঘতম সেতুতে ট্রাকে এক বিস্ফোরণে তেল ট্যাংকারবাহী রেলে আগুন লেগে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে সেতুতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় কোনো দায় স্বীকার না করলেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কির সহকারী মিখাইল পোডোলিয়াক বলেছেন, শনিবার ভোরে যে বিস্ফোরণটি ক্রিমিয়ান সেতু কাঁপিয়ে দিয়েছিল তা কেবল শুরু।
এক টুইট বার্তায় পোডোলিয়াক লেখেন, ‘ক্রিমিয়া সেতু, শুরু। অবৈধ সবকিছু ধ্বংস করতে হবে, চুরি হওয়া সবকিছু ইউক্রেনকে ফেরত দিতে হবে, রাশিয়ার দখলে থাকা সব কিছু থেকে তাদের বহিষ্কার করা হবে।’
এর আগে অসংখ্যবার ইউক্রেনের পক্ষ থেকে ক্রিমিয়ান ব্রিজ ধ্বংস করে দেয়ার হুমকি দেয়া হয়েছিল।
গত আগস্টেও পোডোলিয়াক বলেছিলেন, ইউরোপের বৃহত্তম সেতুটি ধ্বংস করে দেয়া উচিত, কারণ এটি একটি অবৈধ নির্মাণ এবং ক্রিমিয়ায় রুশ সেনাবাহিনীর সরবরাহের প্রধান প্রবেশদ্বার।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বরাবরই ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের কথা বলে আসছেন।
এর আগে স্থানীয় সময় শনিবার ভোররাতে ব্রিজে আগুনের সূত্রপাত হয়। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে একটি বিস্ফোরণ থেকেই আগুনের সূত্রপাত।
ক্রিমিয়া সেতু বা কের্চ স্ট্রেইট সেতু নামে পরিচিত ইউরোপের দীর্ঘতম এ সেতুতে একটি সড়কপথ ও একটি রেলপথ রয়েছে।
আগুন লাগার খবর পেয়ে দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে যান উদ্ধারকারীরা। বন্ধ করে দেয়া হয় যান চলাচল।
এর আগে সেতু সুরক্ষায় রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়ার কের্চ শহরে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা চালু করা হয়। নেয়া হয় বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সেতুর তামান পেনিসুয়ালা অংশে একটি ট্রাকে বিস্ফোরণ হলে ক্রিমিয়ার দিকে যাওয়া একটি রেলওয়ে ট্রেনের সাতটি জ্বালানি ট্যাংকে আগুন ধরে যায়।
ইউক্রেন বা কোনো দেশের হামলায় এই আগুনের ঘটনা ঘটেনি বলে নিশ্চিত করেছে কর্তৃপক্ষ।
আলোচিত ক্রিমিয়া অঞ্চলটি একসময় ইউক্রেনের অংশ ছিল। ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এ অঞ্চল নিজ ভূখণ্ডে একীভূত করে নেয় রাশিয়া। ক্রিমিয়ার সেভাস্তাপোলে নৌঘাঁটি কৌশলগত কারণে রাশিয়ার কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।