গাঁজা রাখাকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা না করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। একইসঙ্গে গাঁজা রাখার অপরাধে গ্রেপ্তারদের গণ ক্ষমার প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার তিনি এই ঘোষণা দেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, আমি ঘোষণা করছি মারিজুয়ানা বা গাঁজা রাখার জন্য যাদের ফেডেরাল আইনে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তাদের সকলকে ক্ষমা করা হল।
তিনি বলেন, আমি সমস্ত গভর্নরদের অনুরোধ করছি এই নির্দেশ যেন মেনে চলা হয়। শুধুমাত্র গাঁজা রাখার জন্য যেন কেউ জেলে না থাকেন। তা সে স্থানীয় জেলই হোক বা স্টেট বা ফেডেরাল জেল।
এ ঘোষণায় মারিজুয়ানা বা গাঁজাকে সম্পূর্ণরূপে বৈধ বলে ঘোষণা না করলেও, এই সিদ্ধান্তে আইনি কড়াকড়ি কিছুটা শিথিল করা হল বলেই মনে করা হচ্ছে।
তবে গাঁজা বিক্রি, বয়সের সীমা- এই নিয়মগুলি থাকা প্রয়োজন, এ কথাও উল্লেখ করেন বাইডেন।
এছাড়াও গাঁজাকে কম ক্ষতিকর উপাদান হিসাবে গণ্য করা হবে কি না, তাও ভেবে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন আইন ও স্বাস্থ্য বিভাগকে।
এদিকে নির্বাচনের ঠিক আগেই প্রেসিডেন্টের এই পদক্ষেপ ভোটে বড় প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। মিড-টার্ম নির্বাচনের ঠিক আগে প্রেসিডেন্টের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক ও আইনি প্রভাব পড়তে চলেছে।
আগামী ৮ নভেম্বরই মিড-টার্ম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
ডেমোক্রাটরা যেখানে নিজেদের দলকে নিয়ন্ত্রণ করতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানেই বাইডেন জনতার একটি বড় দাবি পূরণ করে দিয়েছেন। এতে বাইডেনের জনপ্রিয়তা বাড়বে, কমবে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৪০টি রাজ্য মারিজুয়ানার ব্যবহারকে বৈধ করেছে, কিন্তু কিছু রাজ্যে ও ফেডারেল স্তরে এটি সম্পূর্ণ অবৈধ।
২০১৯ সালের তথ্য অনুযায়ী, মার্কিন জনগণের মধ্যে কমপক্ষে ১৮ শতাংশের বাড়িতেই গাঁজা থাকে। অধিকাংশ মানুষই চিকিৎসার কারণে গাঁজা ব্যবহার করেন।
অন্যদিকে, গাঁজা নিয়ে কঠোর আইনে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে বহু সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে। এ পদক্ষেপটি ৬,৫০০ এরও বেশি লোককে মুক্ত করতে ও মামলা থেকে অব্যাহতি দিতে পারে।