অমৃতা ডি’কস্তা ও রায়হানুল হক
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ইলেকট্রনিক জিনিসের উপর নির্ভরশীলতা ছাড়া চলার উপায় নেই। ইলেকট্রনিক পণ্য যেমন টেলিভিশন, ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন ইত্যাদি এখন সাধারণ আসবাবপত্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এসব ইলেকট্রনিক পণ্য একসময় নষ্ট হয়ে যায়, ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। আমাদের দৈনন্দিন ব্যবহারে ইলেক্ট্রনিকস পণ্যগুলোর উপযোগিতা বা মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে আমরা যত্রতত্র ফেলে দেই। তখন সেসব আবর্জনায় পরিণত হয়। আর এইসব বিকল ব্যবহার অনুপযোগী পণ্য তথা যন্ত্রপাতি বা তাদের যন্ত্রাংশকে ইলেকট্রনিক বর্জ্য বা ই-বর্জ্য বলা হয়। আমাদের বাসাবাড়ি বা অফিস আদালতে এই ই-বর্জ্য প্রতিনিয়তই উৎপাদিত হচ্ছে। এবং এইসব ই-বর্জ্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি হয়ে উঠছে।
ই-বর্জ্যের যথাযথ ব্যবস্থাপনার অভাব কেবল বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের জন্যই মারাত্মক হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি, জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন ইত্যাদি সবকিছু মিলিয়ে আমাদের পৃথিবী বর্তমানে খুবই সংকটময় সময় পার করছে। এরই মধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের প্রতি মানুষের চাহিদা ক্রমেই বাড়ছে এবং সাথে সাথে ই-বর্জের পরিমাণও বেড়ে চলছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৬ সালে সারা বিশ্বের প্রায় ৪৪.৭ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য উৎপাদন হয়েছে, যার পরিমাণ একত্র করলে প্রায় ৪৫০০ আইফেল টাওয়ারের সমপরিমাণ হবে। ২০১৮ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বিশ্বে প্রায় ৫০ মিলিয়ন টনের মত ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে, এবং এই বিশাল পরিমাণ ই-বর্জ্যকে জাতিসংঘ ‘ই-বর্জ্যের সুনামি’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২০১৯ এ গিয়ে ই-বর্জ্যরে পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৫৬.৬ মিলিয়ন টন।
২০১৭ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রকাশিত জাতিসংঘ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০১০ থেকে ২০১৫ এই ৫ বছরে এশিয়ায় ই-বর্জ্যরে পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৬৩ শতাংশ। কম্বোডিয়া, চীন, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম এই ১২টি দেশে ২০১৫ সালের শেষে ই-বর্জ্যের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ২৩ লাখ টন। এর মধ্যে শুধু চীনে পাঁচ বছরে তা দ্বিগুণের বেশি বেড়েছে, যা দাঁড়িয়েছে ৬৬ লাখ ৮১ হাজার টনে।
২০১৯ সালের ৪ জুন The Global E-Waste Statistics Partnership “Global E-Waste Problem” এর উপর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে, বিশ্বে প্রতিবছর ৫০ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়, যা এ পর্যন্ত বিশ্বে উৎপাদিত সকল বাণিজ্যিক বিমানের ওজনের চেয়ে বেশি। ২০১৬ সালে বিশ্বে ৪৪.৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়েছে, যার মাত্র ২০ শতাংশ রিসাইকেল করা গেছে। Solving the E-Waste Problem (StEP)- এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, বিশ্বের ৭০০ কোটি জনগণের প্রত্যেকে গড়ে বছরে ৭ কেজি করে ই-বর্জ্য উৎপাদন করে। ২০২১ সালে বিশ্বে প্রায় ৫৭.৪ মিলিয়ন টন ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়। ইউরোপ থেকে প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেখা গেছে যে, যেখানে ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রের প্রতি মানুষের নির্ভরশীলতা বেশি, সেখানে প্রায় প্রতিটি বাসায় ১১টি থেকে ৭২টি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র অব্যবহৃত বা ভাঙ্গা অবস্থায় পড়ে থাকে।
এই পরিসংখ্যান দিন দিন বেড়েই চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সাল নাগাদ এই পরিমাণ বেড়ে প্রায় ৭৪ মিলিয়ন টনে দাঁড়াতে পারে। এত পরিমাণে ই-বর্জ্য দিন দিন বেড়ে চলছে, কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণ রিসাইকেল করা হচ্ছে, আর রিসাইকেল হচ্ছে মূলত উন্নত দেশগুলোতে। অনুন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে এই সংখ্যা একেবারেই নগণ্য ফলে ই-বর্জ্য সারা দুনিয়ার জন্যই মারাত্মক সংকট হিসেবে দাঁড়িয়েছে।
ই-বর্জ্য পরিবেশে ও প্রাণপ্রজাতির জন্য মারাত্মক হুমকি। ইলেকট্রনিক পণ্যের মধ্যে রয়েছে সীসা, পারদ, তামা, কোডিয়াম, বেরিলিয়াম, ব্যারিয়াম ক্রোমিয়াম, অ্যালুমিনিয়াম, প্যালাডিয়াম, নিকেল, লোহা, সালফার, ফসফরাস, আর্সেনিক, পলিভিনাইল ক্লোরাইড, পলিক্লোরিনেটেড বাই ফিনাইল ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ধাতু এবং ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্র্রব্য, যার সঠিক ব্যবস্থাপনা না করলে পরিবেশের সাথে মিশে মাটি, পানি, বায়ুর মারাত্মক ক্ষতি করতে সক্ষম। উল্লেখ্য, এই বর্জ্যগুলো সহজে ক্ষয় হয় না। ফলে ময়লার ভাগাড়ে বা পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় এগুলো বছরের পর বছর জমা হতে হতে মাটির ক্ষতি করে এবং পানির নীচের জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি করে। এমনকি ই-বর্জ্য রিসাইকেল করার সময় সাবধানতা অবলম্বন না করলে তা কার্বন-ডাই-অক্সাইড তৈরি করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনে ভূমিকা রাখে। বিশেষ করে গরমকালে ই-বর্জ্য আরও বেশি ক্ষতিকর।
গরমে ইলেক্ট্রনিক বর্জ্যগুলো অতিরিক্ত তাপমাত্রায় গরম হয়ে তাদের মধ্যে থাকা বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ নির্গত হয়ে বাতাসে মিশে বায়ুমন্ডলকে দূষিত করে। বিশেষ করে, সীসা মানুষসহ অন্যান্য প্রাণীদের রক্ত, কিডনী এমনকি ব্র্রেইনেরও মারাত্মক ক্ষতিসাধন করে। গবেষণামতে, একটি মোবাইল ফোনের ব্যাটারি থকে পাওয়া ক্যাডিয়াম প্রায় ৬ লাখ লিটার পানি দূষিত করতে সক্ষম। এছাড়া প্রতিটি মোবাইল ফোনের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে গড়ে ৩.৫ গ্রাম কোবাল্ট থাকে। এগুলো ছাড়া, সীসা, জিংক ও আর্সেনিকের মত ক্ষতিকর উপাদান থাকে। তাই ব্যাটারিসহ ফোন উন্মুক্ত ভূমিতে ফেললে তা মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে।
বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। গত দুই যুগের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের ভোক্তা এবং উৎপাদন বাজার পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। গবেষণায় পাওয়া তথ্য মতে, পৃথিবীব্যাপী সারা বছর যে পরিমাণে ই-বর্জ্য উৎপাদিত হয়, তার প্রায় ৭% এর মত বর্জ্য বাংলাদেশ থেকে তৈরি হয়। ২০১৮ সালে দৈনন্দিন ব্যবহারের ৮ ধরনের ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের উপর করা পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি গবেষণায় জানা যায় যে, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৪ শত হাজার টনের মত ই-বর্জ্য উৎপাদন করে। বুয়েটের একটি গবেষণায় দেখা যায় যে, ২০৩৫ সাল নাগাদ দেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ৪৬২ মিলিয়ন টন পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে। তথ্যমতে, প্রতি বছর প্রায় ২৯৬,৩০২টি টেলিভিশন সেট বিকল হয়, যা প্রায় ০.১৭ মিলিয়ন মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপাদন করে। এর মধ্যে গত ২১ বছরে শুধু মোবাইল ফোনই ১০,৫০৪ মেট্রিক টন ই-বর্জ্য উৎপাদন করেছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই উন্মুক্ত কোন স্থানে বা পানিতে ফেলে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে। আশংকা করা হচ্ছে, ২০২৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশে ই-বর্জ্যের পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশের মত বৃদ্ধি পাবে, যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন টন ইলেক্ট্রনিক্স বর্জ্য উৎপাদন করে, যার অনেক ক্ষুদ্র অংশ পুনঃপ্রক্রিয়া করা হয়, আর বাকি অংশ যেখানে-সেখানে ফেলে দেওয়া হয়। পরিত্যক্ত এসব বর্জ্য ঢাকার নিমতলী, ইসলামপুর, চক বাজার, বাবুবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও ধোলাইখালে, এবং চট্টগ্রামের সিডিএ মার্কেট, কক্সি মার্কেট, আইস ফ্যাক্টরি রোড, ভাটিয়ারি ও কদমতলীতে এমনকি দেশের বিভিন্ন স্থানের আবাসিক এলাকাতেও রিসাইক্লিং করা হয়। অনানুষ্ঠানিক খাতে গড়ে ওঠা এসব রিসাইক্লিং কেন্দ্রে আইন-কানুন ও প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে কারো তেমন কোন মাথা ব্যথা নেই।
বাংলাদেশে ই-বর্জ্যের অপরিকল্পিত সংগ্রহণ প্রক্রিয়া এবং পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ প্রক্রিয়ার সাথে প্রায় পঞ্চাশ হাজারের বেশি শিশুশ্রমিক যুক্ত আছে। ই-বর্জ্যের পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের সময় এর বিষাক্ত রাসায়নিকের সংস্পর্শে এসে প্রায় ১৫ শতাংশের বেশি শিশু শ্রমিকের মৃত্যু ঘটে এবং এই কাজে জড়িত প্রায় ৮৩ শতাংশ শিশু-কিশোর কিডনি ও ফুসফুসের রোগে আক্রান্ত, তারা উচ্চ রক্তচাপ, মানসিক বিষন্নতা, শ্রবণশক্তি হ্রাস, পঙ্গুত্ব, চর্মরোগসহ নানাবিধ জটিল রোগে আক্রান্ত হয়। এতদসত্ত্বেও ই-বর্জের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বাংলাদেশের জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা নেই বললেই চলে।
২০২১ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ পরিবেশ অধিদপ্তর ১৯৯৫ সালের বাংলাদেশে পরিবেশ সংরক্ষণ আইনের অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে “ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য (ই-বর্জ্য) ব্যবস্থাপনা বিধিমালা, ২০২১” নামে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রকাশ করে। ই-বর্জ্যের সংগ্রহণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে এটিই বাংলাদেশে প্রথম এবং আনুষ্ঠানিক নীতিমালা যা ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন, বিতরণ, বিপণন এবং ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়া একটি সুনির্দিষ্ট নিয়মের মধ্য দিয়ে প্রক্রিয়াকরণের আশা দেখায়।
উল্লেখিত বিধিমালার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু নিয়ম যেমন, বিদেশ থেকে নিম্নমানের বা ব্যবহৃত কোন ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য আমদানি করার উপর নিষেধাজ্ঞা, ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে বাধ্যতামূলক ই-বর্জ্য সংগ্রহের আলাদা জায়গা এবং পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের ব্যবস্থা রাখা, ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্য বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্রেতাদের বিক্রিত পণ্য মেয়াদ শেষে নির্দিষ্ট দোকানে ফেরত দিতে উৎসাহ দেওয়া অথবা বিক্রেতাদের নিজেদেরকে সেসব পণ্য নিয়ে আসার ব্যবস্থা রাখা, ইলেক্ট্রিক্যাল পণ্যের গায়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের এবং বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ নম্বর এবং ঠিকানা রাখা বাধ্যতামূলক করা ইত্যাদি বাংলাদেশে ই-বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার জন্য একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। পরিতাপের বিষয়, বাংলাদেশে এমন গুরুত্বটপূর্ণ বিধিমালা প্রণয়ন করা হলেও এর প্রয়োগ এখনো চোখে পড়ে না। উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পরিবেশ সচেতন অনেক ভোক্তারাও এই বিষয়ে তেমন সচেতন নয়।
পরিবশে দূষণের ক্ষেত্রে পৃথিবীর দূষিত দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান হু হু করে উপরের দিকে উঠছে। বর্তমানে পরিবেশ দূষণের যেসব গুরুত্বপূর্ণ কারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়, তাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা করা হয় ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব নিয়ে। অথচ দেশের বেশিরভাগ মানুষের এই ই-বর্জ্য নিয়ে কোন ধারণাই নেই। কিন্তু পুরো বিশ্বে ই-বর্জ্য দূষণ বৃদ্ধি নিয়ে মানুষ আতঙ্কিত হচ্ছে। ই-বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা আমাদের ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। শুধু জনসচেতনতা এবং সঠিকভাবে নিয়মনীতি পালন ও বাস্তবায়নই দেশে ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে। যেখানে উন্নত দেশগুলো ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হিমশিম খাচ্ছে সেখানে ই-বর্জ্য বিষয়ে বেশি বেশি প্রচার করা এবং ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নীতিমালা প্রয়োগের ক্ষেত্রে সরকারি উদ্যোগ খুবই দ্রুত গ্রহণ না করা গেলে পরিস্থিতি আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে যাবে। সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি ব্যবসায়ী, ভোক্তা নাগরিকদেরও এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রবন্ধে প্রকাশিত অভিমত সম্পূর্ণভাবে লেখকদ্বয়ের নিজস্ব, সাময়িকীর নয়।
লেখকদ্বয় বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ‘ভয়েস’র গবেষণা সহযোগী।
amrita.voice2022@gmail.com; rayhanul.voice@gmail.com