রাশিয়ার দখলকৃত দক্ষিণাঞ্চলে বড় ধরনের সামরিক সাফল্য পেয়েছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী। বিতর্কিত গণভোটের পর অবৈধভাবে রাশিয়ার অংশ করা খেরসনে ইউক্রেনের এই অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে পূর্বাঞ্চলেও তাদের অবস্থান শক্তিশালী হচ্ছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এখবর জানিয়েছে।
খেরসনের দিকে ইউক্রেনীয় বাহিনীর অগ্রসর হওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন মস্কোপন্থী কর্মকর্তারা। তবে রাশিয়া বলছে, তাদের সেনারা অবস্থান ধরে রাখছে।
পূর্বাঞ্চলে রুশ নিয়ন্ত্রিত লুহানস্কের দিকেও অগ্রসর হচ্ছে ইউক্রেনের সেনাবাহিনী।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, একাধিক এলাকায় নতুন বসতি মুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে তুমুল লড়াই চলছে।
খেরসনে রুশপন্থী নেতা ভ্লাদিমির সালদো স্বীকার করেছেন, ডুডচানি শহরের কাছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা বলয় ভেঙে দিয়েছে ইউক্রেনীয় সেনারা। কিছু বসতি ইউক্রেনীয় বাহিনী দখল করেছে।
কয়েকজন রুশ নাগরিক বলেছেন, শহরটির নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে ইউক্রেন।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগোর কনাশেনকভ বলেছেন, সংখ্যা বেশি থাকা ইউক্রেনীয় ট্যাংক জলোটা বল্কার দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হচ্ছে। এটি আগে ছিল রণক্ষেত্র।
মুখপাত্র দাবি করেছেন, রুশ সেনাদের সঙ্গে লড়াইয়ে ইউক্রেনের ১৩০ সেনা নিহত হয়েছে।
সালভো বলেছেন, ইউক্রেনের দুই ব্যাটালিয়ন সেনা কাখোভকা পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছেছে। এটি খেরসন শহর থেকে ৭০ কিলোমিটার পূর্ব দিকে অবস্থিত।